কোম্পানীগন্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোম্পানিগন্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোটারদের দারে দারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।দ্বিতীয় ধাপে আসন্ন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এতে প্রচারণা শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে প্রচারণা করছেন তারা। এতে জনসভা গণসংযোগ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন প্রার্থী সমর্থকরা। ফলে গোটা উপজেলা জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২১ মে কোম্পানিগন্জ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট জেলা আওয়ামিলীগ নেতা মজির উদ্দিন আনারস মার্কা নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ভোটাররা একজন নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক নেতা শিক্ষিত ব্যক্তি মজির উদ্দিন চেয়ারম্যান পদে আসীন দেখতে চান। তারা মনে করেন অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীন রা্স্তাঘাঠ উন্নয়নে নতুন মূখ আনারস কান্ডারী মজির উদ্দিনই উপযুক্ত বলে মনে করছেন। অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী শামীম আহমদের চেয়ার বহাল রাখতেও পিছিয়ে নেই তার কর্মী সমর্থকরা। মোটরসাইকেল সমর্থক অনেক ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা যায়- উপজেলার বৃহৎ কর্মসংস্হান পাথর কোয়ারী খোলার ব্যাপারে সরকারী বেসরকারি সভায় মেহনতি মানুষের দূর্দশালাঘবে আওয়াজ তুলেন সবসময়ই চেয়ারম্যান শামীম। সেজন্য বৃহত্তর স্বার্থে সাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় রাখতে চান শামীম আহমদকে।
তবে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় ভোটের জরিপে আনারস প্রতীকের জয়জয়কার শুনা গেলেও শেষ বাঁশি বাজার মূহুর্তে স্হানীয় আঞ্চলিক /জাত বৈষম্যের অজুহাতে ভোটের হিসাব পাল্টে যেতে পারে। যুগযুগ ধরে কোম্পানীগঞ্জে আঞ্চলিকতার রেখা(আবাদী-সিলটী) ভোটের মাঠে সুকৌশলে ব্যবহার হয় অতিগুরুত্বে। যার প্রমাণ গত কয়েকটি নির্বাচনে প্রতীয়মান হয়েছে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর বেলায়ও। তবে এবারের বিষয় ভিন্ন বৃহৎ একটি পক্ষ মৎস্য সম্প্রদায় বনাম বাঙাল শেখ বিষয়টি মুখরোচকে পরিণত হয়েছে চায়ের দোকান থেকে পাড়া মহল্লায়। এতে শেষমুহুর্তে সংযোগ লাগাতে পারলে আনারস প্রতীকের মজির উদ্দিন ধরাশায়ী হতে পারেন সাইকেল প্রতীক হাজী শামীম এর কাছে। তাছাড়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আবুল মনসুর মোহাম্মদ রশিদ ও উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যিনি বছরখানেক ধরে নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতাসহ প্রতিটি গ্রামে সময় ব্যয় করে অদ্যাবধি মাঠে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে আসন্ন ২১ শে মে’র অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা,শোডাউন, পথসভা, গণসংযোগ,মিছিল উপজেলাব্যাপী বেশ তোড়জোড়ে চলছে।পছন্দের প্রার্থীদের মার্কায় শীল পেতে রকমফের কৌশল করায়ত্ব প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র ১দিন পরই পরিষদের ৩ পদে শেষহাসি না জানি কার কার ভাগ্যে সেটাই এখন দেখার পালা।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৯ মে ২০২৪

Discussion about this post