নিখোঁজের ১৯ দিনেও খুলনার কয়রার এক গৃহবধূর খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মা হারা মেয়েকে সুস্থ্য শরীরে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন লালন-পালনকারী দরিদ্র দাদা-দাদী সহ স্বামী। যদিও ‘পরকীয়ার জেরে ওই গৃহবধূ পালিয়ে চলে গেছে’ এমনটিই দাবি কয়রা থানা পুলিশের। নিখোঁজ গৃহবধূ উপজেলার ঘুগরাকাটি গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম গাজীর মেয়ে রুবিনা খাতুন (১৯)।
রুবিনার দাদা আবুল হোসেন গাজী জানান, তার নাতনীকে ১ বছর আগে একই উপজেলার বাগালী গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে মনিরুল গাজীর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। কয়েকদিন আগে তারা তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে নানা বাড়ি (বামিয়া) নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার স্বামী ফোন করে ঘুগরাকাটি বাজারে যেতে বলে দাবি করে তিনি বলেন, পরে তাদের বাড়ি থেকে নানা বাড়ি (বামিয়া) যাওয়ার কথা বলে সকাল ৯টার দিকে বের হয়ে সেই থেকে আর ফিরে আসেনি। এর পর সম্ভাব্য সব জায়গায় ব্যাপক খোঁজাখুজির পর কোথাও সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিখোঁজ ওই গৃহবধূর দাদী বলেন, ৩ বছর বয়সে তার মা মারা যায়। সেখান থেকে তিনিই তাকে লালন-পালন করেছেন। সে কোথায় আছে? কেমন আছে? এটা জানতে তার মন ছটফট করছে। পুলিশ তাকে খুঁজে এনে দেওয়ার যথাযথ চেষ্টা না করে উল্টো তাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে তিনি মা মরা মেয়েকে সুস্থ্য শরীরে ফিরে পেতে পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
গৃহবধুর স্বামী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের সংসার জীবনে কোন সমস্যা ছিল না। ইট ভাটায় কাজ করায় বেশির ভাগ সময়ে তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হতো। নিখোঁজের আগের দিনও তাদের বাড়িতে গিয়ে তিনি কথা বলে এসেছিলেন। হঠাৎ কিভাবে কি হলো তা তিনি জানেন না।
নিখোঁজের খবর পেয়ে তিনি থানায় জিডি করতে গেলে ফারুক স্যার (এসআই ফারুক হোসেন) ‘মেয়ের দাদা জিডি করেছেন, আপনাকে আর করা লাগবে না বলায় তিনি চলে এসেছিলেন দাবি করেন।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা জানান, তার সন্ধান পেয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক বিবাহিতন ওই মেয়ে কোন এক ছেলের সাথে চলে গেছে বলে জেনেছেন তারা। পরিবারের কারো কোন অভিযোগ থাকলে থানায় মামলা করলে ন তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেন জানিয়েছেন তিনি।
জা// দেশতথ্য বাংলা// ১০ অক্টোবর ২০২২//