Print Date & Time : 14 May 2025 Wednesday 1:43 am

কয়রায় জবি অধ্যাপককে মারপিটের ঘটনায় গ্রেফতার ১

শেখ দীন মাহমুদ,খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে
কেন্দ্র করে স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)
অধ্যাপককে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (০৬ মে) রাতে অধ্যাপক
নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কয়রা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ ওই মামলার আসামী ও কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার হেড ক্লার্ক কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আহত প্রফেসর নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (৫ মে) কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। সেখানে নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। অধ্যক্ষ
পদে লিখিত পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি। তারপরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও
মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার পছন্দের
প্রার্থী মাদ্রাসাটির উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি
করেন। এসময় তিনি বিধি মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থা
নিতে চান। পরে তিনি ও নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি গাড়িতে করে ফেরার
পথে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তাদের গাড়ি থামিয়ে প্রথমে
ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ তাকে চড় দিয়ে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে
নেয়। এসময় তাকে ফেলে রেখে ডিজির প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগের
কাগজে স্বাক্ষর করে চলে যান। তবে তিনি রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যানের সাথে
থাকা ২০-২৫জন লোক তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে
নামিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে সাড়ে তিন ঘন্টা
ধরে তাকে নির্মম নির্যাতন করে জোরপূর্বক নিয়গের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে
নেয়। ঘটনার পর রাত ১০টায় মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় গভীর রাতে খুলনা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

এব্যাপারে জানতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করে নম্বরটি বন্ধ
পাওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে কয়রা থানার ওসি এবিএমএস দোহা মামলার একজন আসামিকে
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে
পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//