খুন হয়েছিলেন দৌলতপুর উপজেলা জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান সালাম। এই ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টোকেন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী সহ ৭ আ.লীগ নেতা কর্মীর নামে মামলা হয়েছিল।
গত মাসের ১১ তারিখ রাত ১১ টরা দিকে আল্লারদর্গা মাস্টার পাড়াতে হামলার শিকার হয় দৌলতপুর উপজেলা জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান সালাম। আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন মাহবুব খান সালামের বাবা আলাউদ্দিন খান বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরী, সহ ৭ আ.লীগ নেতা কর্মী আগাম জামিন নিয়ে ফিরলেন দৌলতপুরে।
সোমবার মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মুস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সেলিমের বেঞ্চ তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে মুক্তি পেয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীসহ আ.লীগের নেতাকর্মীরা আল্লারদর্গা আসার পথে ভেড়ামারা সীমানা থেকে তাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। পরবর্তীতে প্রায় দুই হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।