Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 10:04 am

খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যু, আটক ২

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছ। এ অভিযোগে পুলিশ দু’ জনকে আটক করেছে। রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, নগরীর দৌলতপুর পাবলা কা‌রিকর পাড়ার মাওলানা আঃ রাজ্জা‌কের স্ত্রী পিয়ারুন বেগম দীর্ঘদিন যবত নানা রো‌গে ভুগছিলেন ছি‌লেন। শ‌নিবার (০৯ এপ্রিল) রাত সা‌ড়ে ১২ টার দি‌কে তি‌নি অসুস্থ হ‌য়ে প‌ড়লে প‌রিবা‌রের লোকজন ওই রা‌তেই তাকে খুলনা মে‌ডি‌কে‌লে চি‌কিৎসার জন্য নি‌য়ে আ‌সেন।

এরপর রা‌তে একা‌ধিকবার কর্তব্যরত চি‌কিৎসক‌কে ডাকা স‌ত্বেও তিনি ওই রোগীর সেবা দি‌তে আ‌সে‌ননি বলে দাবি করেন পরিবাবার। রাত ৩ টার দি‌কে পিয়ারুন বেগ‌মের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হ‌লে ওই চি‌কিৎস‌কের রু‌মে গি‌য়ে ডাক‌লেও কোন সাড়াশব্দ দেয়‌নি। প‌রে পিয়ারুন বেগমের সন্তান মোঃ মোস্তা‌কিম বিল্লাহ চেয়ার দি‌য়ে ডাক্তার কামরুল ইসলাম‌কে মারপিট ক‌রে।এ‌ ঘটনায় ওই চি‌কিৎসকের হাত কে‌টে যায়।

এব্যাপারে মৃত পিয়ারুন বেগমের ভাইপো মামুন বলেন, নগরীর দৌলতপুর পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী কেয়ারুন বেগম দীর্ঘদিন নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন ওই রাতেই খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসেন। রাতে একাধিকবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকা সত্বেও তিনি সেবা দিতে আসেননি জানিয়ে তিনি বলেন, রাত তিনটার দিকে পিয়ারুন বেগমের অবস্থা খারাপ হলে ওই চিকিৎসকের রুমে গিয়ে ডাকলেও গেলে কোন সাড়া শব্দ দেননি। পরে পিয়ারুন বেগমের ছেলে মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ চেয়ার দিয়ে ডাক্তার কামরুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনায় চিকিৎসকের হাত কেটে যায়। রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে।

এরপর মৃতের স্বামী ওই চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চাইতে গেলে তাকেও মারধর করে হাসপাতালের লোকজন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ অভিযোগে পুলিশ মৃত পিয়ারুন বেগমের দুই সন্তান তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। সর্বশেষ এ ঘটনায় লাশ আটকে রাখা হয়েছে বলেও এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।

সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, রাতে পিয়ারুন বেগম নামে এক মহিলা মারা যায়। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কতৃপক্ষ দু’জনকে আটক রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//