শেখ দীন মাহমুদ,খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
খুলনার গৃহবধূ লিমা খাতুনের প্রসব বেদনা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ভর্তি হন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, সিজার করতে গিয়ে ডাক্তারের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃত শিশুটির পরিবার।
অনাগত শিশুর দাদী বকুল বেগম দু’সন্তানকে নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগার ভিটায় বসবাস করেন। সাগর গাজী তার ছোট ছেলে। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে লিমার সাথে সাগরের বিয়ে হয়। তিন বছর পরে গর্ভবতী হয় লিমা। হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, চিন্তার কোন কারণ নেই, স্বাভাবিকভাবে তার বাচ্চা হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার এসে বলা হয় জরুরী ভিত্তিতে তাকে অপারেশন করাতে হবে। না হলে মা ও বাচ্চার মৃত্যু হবে।
তারা আরও জানান, তারপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অপরেশনের ব্যবস্থাপত্র। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অপারেশন করা হয়। জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। এ সময়ে চিকিৎসকের ভুলের কারণে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে ওই নবজাতকের পেটে বলে তাদের অভিযোগ। এতে মারাত্মকভাবে জখম হয় শিশুটি । একপর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নবজাতককে নিয়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের স্কানু বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাচ্চাটির মৃত্যু হয়।
বকুল বেগম আরও বলেন, চিকিৎসকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিশুটির পেটের ডান পাশে ক্ষত হয়। আঘাতে বাচ্চটির পেটের মলের নাড়িটি সম্ভবত কেটে গিয়েছিল। সেখানে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে বাচ্চাটি মারা গেছে বলে দাবি তার।
পরবর্তীতে চিকিৎসক ও হাসপাতালের লোকজন তাদের ভুল বোঝাতে থাকে। বলা হয় শিশুটি জন্মগতভাবে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা গেছে। কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বাচ্চাটি পেটে ব্যান্ডেজ কেন? এমন প্রশ্নে এড়িয়ে যান সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার।সন্তান হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন লিমা খাতুন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post