খুলনার বটিয়াঘাটায় হাত-মুখ বেঁধে দু’ বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার ফুলতলায় নিজ বাড়ীতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে রবিবার (১৫ মে) রাত ৮ টার দিকে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ঘটনার জনাজানি হয়।
সম্পর্কে তারা দু’জন খালাতো বোন। ২৪ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যক্তা বড় বোনের ২২ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। অন্যজন ১৩ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী।
এব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর মা জানান, শনিবার (১৪ মে) বিকেলে তিনি বোনের বাড়ী ডুমুরিয়াতে গিয়েছিলেন। তার স্বামীও চিকিৎসার জন্য বাগেরহাটেগি য়েছিলেন। এসময়ে বাড়ীতে ওরা দু’ বোন ছিলো।
ঘটনার দিন মধ্যরাতে ৭জন তাদের বাড়ীতে যায়। এরপর তাদের কয়েকজন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে বড় মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরে দু’ বোনের হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।পরে শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। এ সময় ঘরের বাইরে বাকিরা পাহারায় ছিলো।
ঘটনার পর ভোর রাতে মেয়েরা তাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে ঘটনা জনায়। অতঃপর বাড়ীতে এসে ছোট মেয়েকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে সেখানে ছেলের কাছেই আছে। সে নিজেও মারাত্মক অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে তিনি নিজে হাসপাতালে গিয়েছেন। তাদের সাথে কথাও বলেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ১৫,২০২২//

Discussion about this post