বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনা কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বৃহস্পতিবারের (২৬ মে) সমাবেশ পন্ড হয়েছে। হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে পুলিশ। এদিকে থেমে থেমে ইট পাটকেল ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটছে।
এ ঘটনায় খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ এখন পর্যন্ত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনা কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যাালয়ের সামনে আজ বেলা ৩টায় এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আগেই খুলনায় পৌঁছান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪ টার দিকে ডুমুরিয়া থানা বিএনপির একটি মিছিল ধর্মসভা থেকে বিএনপি অফিসের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ছাত্রলীগের অপর একটি মিছিল আওয়ামী লীগের অফিসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
ঘটনা জানতে পেরে বিএনপি অফিসের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা প্রতিবাদের জন্য অগ্রসর হতে চাইলে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বাধা দেয়। তাদের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে হামলায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।
এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় পুলিশ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ রেহেনা ইসা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, কাওসারী জাহান মঞ্জু ও মুন্নীজামানসহ ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল, ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আরও জানান তিনি
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post