খুলনায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম কলেজছাত্র সৈয়দ তাহমিদুন্নবী (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত ১২ টার দিকে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে দৌলতপুর থানাধীন নতুন রাস্তা সাহাপাড়া মোড় এলাকার সৈয়দ তৌহিদুন্নবীর ছেলে।
এর আগে দুপুর ২ টার দিকে নগরীর দৌলতপর এলাকায় কলেজছাত্র সৈয়দ তাহমিদুন্নবীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিহত তাহমিদুন্নবী নগরীর রায়েরমহল কলেজের শিক্ষার্থী।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম তাহমিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নতুন রাস্তা সাহাপাড়া মোড়া এলাকার কাঠ মিস্ত্রি পলাশ তাকে বাসা থেকে ডেকে নেয়। এরপর সেখানে পূর্ব থেকে উপস্থিত থাকা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী কলেজছাত্র সৈয়দ তাহমিদুন্নবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী পিয়াল নামের একজনকে আটক করে দুপুরে তাকে মৃদু মারধর দিয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
তাহমিদের দুলাভাই উজ্জ্বল জানান, দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে নামাজ আদায় করে ভাত খাওয়ার অপেক্ষায় ছিল তাহমিদ। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পলাশ তাকে ডেকে নিয়ে মারধর ও বাটালি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে জনতার হাতে আটক হয় পলাশের ভাইপো পিয়াল। তাকে স্থানীয়রা মৃদু মারধর দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাশ পলাতক রয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ছেলেটি খুব ভাল। গতকাল দুুপুরে ঘটনার পর পরিবারকে মামলা করার জন বলা হয়েছিল। তারা পুলিশকে জানিয়েছিল ভিকটিমের অবস্থা ভাল। কিন্তু রাত ১২ টার পর জানতে পারলাম ছেলেটি মারা গেছে। বিভিন্নস্থানে পলাশের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাকে ধরতে পারলে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। তাকে আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০২,২০২২//