শেখ দীন মাহমুদ, খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনার সোনাডাঙ্গার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলয় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৪ জনকে ৮ বছর করে কারাদন্ড প্রদান হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আঃ ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলো, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মোঃ রাব্বি হাসান পরশ, মোাঃ মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম(পলাতক) ও মোঃ মিম হোসেন।
এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদেরকে ৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলো, নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মোঃ সৌরব শেখ ও মোঃ জিহাদুল কবির দিহান। এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে আরও ৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মোবাইল ফোনের মধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেয় শান্ত।
এরপর নগরীর সাহেবের কবর খানায় উভয় এক সাথে মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। এসময় শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপিস্থিত অন্যান্যরা। পরে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যান্যরাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ঘটনাটি ভিকটিম বড়বোনকে জানালে তিনি তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরেরদিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন, য়ার নং ২২।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//