৫ম বারের মতো ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন ২২৩ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩৬ জন শপথ নিয়েছেন নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে।খুলনা বিভাগের ৩৬ সংসদীয় আসনের মানুষ অনেকটা তাকিয়ে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের শপথের দিকে। বিশেষ করে ১০ জেলার মানুষ টিভির পর্দা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন কারা হচ্ছেন এ অঞ্চলের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠান দেখে এ অঞ্চলের জনগণ অনেকটাই হতাশ হয়েছেন। কারণ একাদশ সংসদে গঠিত সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় চারজন সংসদ সদস্য স্থান পেয়েছিলেন। এবারও তার চেয়ে বেশি পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন খুলনা বিভাগের জনগণ। কিন্তু শপথ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা দেখে সবাই হতাশ। কারণ এবার মাত্র দু’জন সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এ বিভাগের খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন।
তবে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গঠন করা সরকারের মন্ত্রিপরিষদে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ডাক পেয়েছিলেন চারজন। এরমধ্যে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সহধর্মীণি বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।মন্নুজান সুফিয়ান ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেগম হাবিবুন নাহার ছিলেন বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন পেয়েছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
খুলনা বিভাগে যেহেতু চারজন মন্ত্রী ছিলেন সেকারণে এবার আরও দু’থেকে তিনজন মন্ত্রী বেশি পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন এই অঞ্চলের মানুষ।এদিকে, খুলনা বিভাগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা যশোর। এ জেলায় গত সংসদে এক প্রতিমন্ত্রী থাকলেও এবারে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কোটা শূন্য। যে কারণে যশোরের মানুষ হতাশ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//