নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার খোকসা কালীবাড়ি সংলগ্ন গড়াই নদীতে আকষ্মিক ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান, পৌর এলাকার পানি নিষ্কাষনের প্রধান ড্রেন, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ ছিন্নমূল মানুষের ঘর বাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধায় হঠাৎ করে গড়াই নদীর কালীবাড়ি ঘাট এলাকার শহর রক্ষার বাঁধে ধস লাগে। মূহুর্তের মধ্যে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। দেখতে দেখতে খান স‘মিলের আঙ্গিনার প্রায় ১শ ফুট জমি ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়। ব্যবসায়ীদের গুড়ি কাঠ নদীতে ভেসে যায়। রাতেই স‘মিলটি যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পৌর এলাকার পানি নিষ্কাষনের প্রধান ড্রেনের ২৫ গজ ও কেন্দ্রিয় মহাশ্মাশান থেকে ৩৫ গজের মধ্যে নদী ভাঙ্গন পৌচ্ছে গেছে। নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে কালীবাড়ির চরে বসবাস কারী ছিন্নমূল ভুমিহীনদের কয়েকশ বসত বাড়িসহ বেশ কিছু বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
গড়াই নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে খোকসা ও ওসমানপুর ইউনিয়নের খানপুরপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৫ ভুমিহীন পরিবারের বসবাসের আধাপাকা টিন সেড সরকারী ঘর কমিউনিটি সেন্টার অফিস আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এসব পরিবারের প্রায় দেড়শ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে। এ চরের ফরিদা কাঞ্চন দম্পতি পাশের উপজেলা কুমারখালীর একটি চরে আশ্রয় নিয়েছে। বৃদ্ধা আছিয়া ছেলে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বাঁকী জীবন নিয়ে তার চিন্তার অন্ত নেই।
চলতি বর্ষা মৌসূম শুরুতেই খোকসা কালীবাড়ি থেকে বাজার রক্ষার টি বাঁধ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার নদীর প্রায় ৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। সম্প্রতি টি বাঁধের পশ্চিম অংশের ৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সোমবার থেকে ভাঙ্গনের প্রখরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তারা খান স‘মিল এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন উপদ্রæত এলাকা গুলো চিিত করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ গ্রহন করেন।
ভাঙ্গন উপদ্রæত এলাকায় দাড়িয়ে কথা বলেন কালীমন্দির কমিটির সভাপতি সুপ্রভাত মালাকার, তিনি জানান বছর দশেক আগে একই জায়গায় হঠাৎ ভাঙ্গনের শুরু হয়। ভাঙ্গনরোধে সরকারী উদ্যোগে শহর রক্ষা বাধ নির্মান করা হয়। কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের সন্নিকটে ভাঙ্গন চলে আসায় তারাও সংঙ্কিত। ভাঙ্গনরোধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মহাঃ সালাউদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পানিউন্নয় বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, গড়াই নদীর পানি প্রায় বিপদ সীমার কাছা কাছি রয়েছে। এ সময় নদীতে ¯্রােত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কিছু স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। খান স‘মিল এলাকায় সরকারী ভাবে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য স্থান গুলোর তালিকা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Discussion about this post