হাটহাজারী প্রতিনিধি : হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে একটি বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিম ও এলাকাবাসীরা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে সংশ্লিষ্ট ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ মো.নুরুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে ভিকটিম নাজমুল নগরীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডস্থ নাজিমুদ্দিন শরিফের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত নাজিমুদ্দিন শরিফ (৪৫)ওই এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব শরিফের পুত্র।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনারদিন শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই বাড়িতে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ৭/৮ জন ব্যাক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেইন কেচি গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে রুমের দরজার লক ভেংগে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির মালিক নাজিমুদ্দিন শরিফ বাধা দিলে তাকে হাতের তালু বরাবর এবং বুকের বাম পাশে ধারালো দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) দিয়ে আঘাত করে এবং তাদের স্বামী স্ত্রী দুজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মিকরে আলমারি ভেংগে নগদ ৬৫৫,০০০/-(ছয় লক্ষ পাঁচ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, স্বর্ণ অনুমান ০৬ ভরি অনুমান মূল্য ৮৭০,০০০/-(আট লক্ষ শত্তর হাজার), ০১ টি কালো রংয়ের ল্যাপটপ যার অনুমানিক মুল্য ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ০৩ টি এ্যানড্রোয়েট মোবাইল ফোন ৬০,০০০/-(ষাট হাজার)টাকাসহ সর্বমোট-১,৬৩৫,০০০/- (ষোল লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকার নিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিম নাজিমুদ্দিন শরিফকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভিকটিম নাজিমুদ্দিন শরীফের মেয়ের জামাতা মো.পারভেজ উদ্দিন রবিবার বেলা ১২ টার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, আমার শশুড় আব্বা কে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা এবং পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মির্জাপুল ডক্টর হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে তারা থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন এর মোবাইল ফোনে রিং দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পরে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভিকটিমের সাথে কথা বলেছি, বর্তমানে থানায় ভিকটিমের পরিবার আসছেন, এ ঘটনায় মামলা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাদীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে ইতিমধ্যে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ তদন্ত কাজও শুরু করেছে বলে জানান তিনি।