আম, লিচু, কাঁঠাল। গরমের এই তিন সুস্বাদু ফল, তীব্র গরমকেও যেন ভুলিয়ে দিতে পারে। তবে শুধু ফলের রস বা আস্ত ফল নয়। এই তিন ফল দিয়েই রান্না করা যায় সুস্বাদু খাবার। তবে প্রথমে রইল লিচু দিয়ে তৈরি নতুন স্বাদের খাবার।
লিচুর পায়েস-
যা যা লাগবে–
১ লিটার দুধ, ১ কাপ গোবিন্দভোগ চাল, ২ থেকে ৩ চামচ খোয়া ক্ষীর, ২০০ গ্রাম চিনি, ১/২ কাপ ড্রাই ফ্রুটস , ২টা এলাচ, ২টা তেজপাতা এবং কুচি কুচি করে কাটা আটটি লিচু।
প্রথমে মাঝারি আঁচে একটি কড়াইয়ে দুধ ফুটিয়ে নিন। অন্যদিকে চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে বেশ কয়েক ঘণ্টা। দুধ ঘন হয়ে হলুদ হয়ে এলে তাতে চাল ঢেলে দিন। চাল সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত দুধ ফুটতে দিন। এরপর চাল সেদ্ধ হয়ে এলে, তাতে এলাচ গুঁড়ো ও তেজপাতা দিন। কিছুক্ষণ রান্না করার পর, লিচুর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর খোয়া ক্ষীর, স্বাদমতো চিনি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে ভাল করে। ২ মিনিট রান্না হওয়ার পর পায়েস ঘন হয়ে এলে একটি পাত্রে ঢেলে নিন। পরিবেশনের আগে কাজুবাদাম, কিসমিস, পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে লিচুর পায়েস পরিবেশন করুন।
শুধু পায়েস কেন, এই গরমে তৈরি করতে পারেন লিচু নারকেলের কুলফিও।
যা যা লাগবে-
লিচু ১০-১৫টি, গুঁড়া দুধ ২ কাপ, নারকেল কোড়ানো ২ কাপ, নারকেলের দুধ ২ কাপ ও ফুল ক্রিম তরল দুধ ২ লিটার।
তৈরি করুন এভাবে-
প্রথমে লিচুর খোসা ছড়িয়ে বিজ আলাদা করে নিন। তারপর লিচুগুলো ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মাঝারি আঁচে নারকেল কোড়ানো, নারকেলেরর দুধ ও তরল দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল দিন।
সব উপকরণ ভালো করে নেড়ে ব্লেন্ড করা লিচু যোগ করুন। এরপর বারবার নাড়তে থাকুন। যখন মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসবে তখন চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে ঢেলে নিন ও ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি কুলফির ছাঁচে ঢেলে ডিপ ফ্রিজারে রেখে দিন। কুলফি অল্প জমে গেলে এর মধ্যে কাঠি ঢুকিয়ে দিন। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত কুলফি ফ্রিজে রেখে দিন। তৈরি আপনার সুস্বাদু লিচু-নারকেলের কুলফি।
জা//দেশতথ্য/১৩-০৬-২০২২//০১.০৪পিএম

Discussion about this post