মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ৩নং কাজীপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়ার ভুক্তভোগী খাজিরুল ইসলামের পরিবারকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর ২টায় গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে বলেন, নওদাপাড়া পীরতলা (এনপি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা জমিদাতা হিসেবে ভুক্তভোগী খাজিরুল ইসলাম উক্ত প্রতিষ্ঠানকে তার নিজ নামের ২০ শতক জমি দান করেন। জমিদানের শর্ত ছিল ভুক্তভোগীর পরিবারের দুইজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া। এবং এই প্রতিষ্ঠানে খাজিরুল ইসলামের বড় ছেলে ননএমপিও থাকাবস্থায় ১৮ বছর যাবত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন৷ পরে সরকারি চাকুরির সুবাধে সে অন্যত্র চলে যায়। এরপরে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম যোগদান করে, উক্ত বিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের দুইজন সদস্য চাকরি করার যোগ্যতা থাকলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুকৌশলে তাদেরকে চাকরি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে, ভুক্তভোগী খাজিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ৫ জন সহকারী শিক্ষককে ৪৩ লক্ষ টাকা ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ দেন এবং আরও বিভিন্ন অনিয়ম কার্যক্রম এর সাথে তিনি জড়িত। খাজিরুল ইসলাম বর্তমান প্রধান শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ করেন। তিনি বর্তমান প্রধান শিক্ষক এর শিক্ষাগত সনদ জাল বলে জানান। উক্ত বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ভুক্তভোগী খাজিরুল ইসলাম দাতা সদস্য। বর্তমান বাজার মূল্যে বিদ্যালয়ে দানকৃত জমির মুল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগীর পরিবার একদিকে চাকরি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপর দিকে জমির ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এমতবস্থায় প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন মেহেরপুর-সহ শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদন্ত সাপেক্ষে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ এর জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
রিমন//দৈনিক দেশতথ্য//১০মে-২০২২

Discussion about this post