মেহেরপুর থেকে আঃ আলিম:মেহেরপুরের গাংনীতে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ এখন বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে। বিষয়টি স্বীকার করে চিকিৎসকরা সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।
গাংনীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষের সেবা দান প্রতিষ্ঠান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রোগীদের সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানটি এখন হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গেল এক সপ্তাহে আউটডোরে তিন হাজার দু’শো জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। একই সময়ে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা গড়ে ৬৬ জন। রোগীদের সিংহ ভাগই জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। অসুস্থদের মধ্যে শিশু ও বয়ষ্কদের সংখ্যা বেশি। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। পা ফেলার জায়গা নেই। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স। বাইরের খাবার ও পানি খাওয়ায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে।
চিৎলা থেকে আসা রমিজা জানান, তার শিশু কন্যা ববিতা (৮মাস) কে নিয়ে ৫দিন ভর্তি আছেন। নিউমোনিয়া হয়েছে তাই চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই কথা জানালেন, কামারখালী থেকে আসা আদুরীর মা রোমেলা। বৃদ্ধ কাবিল জানান, তিনি ৫দিন আড়ে শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি আছেন। বেড পাননি তাই মেঝেতে রয়েছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রাফিজা আলম জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ কমপ্লেক্সটিতে প্রায়ই ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি থাকে। এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। বেডে জায়গা না হওয়ায় মেঝে ও সিড়ির পাশে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আবাসিক অফিসার এমকে রেজা জানান, বর্তমান আবহাওয়ার কারণে জ্বর স্বর্দি কাশি আর ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগিরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার অনেককেই ভর্তি রাখা হচ্ছে। রোগির চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন হবার পরামর্শ দেন তিনি।
দৈনিক দেশততথ্য//এল//

Discussion about this post