গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সাহারবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাসীরুল আজিজ (হাসান)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসমা তারা ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পরিচালনা করছেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেনাল কোডের ৩২৩/৩২৭/৩০৭/৩৫৫/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা বিচারাধীন রয়েছে (মামলা নং: সি.আর-৪২৫/২০২২ (গাংনী)। এছাড়াও চলতি বছরের ২৫ জুন তারিখে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মামলা নম্বর ৪৬৩/২৫।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, কয়েক মাস পূর্বে টেপুখালী মাঠসংলগ্ন হিজলবাড়ীয়া-সাহারবাটি সড়কে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া চারটি সরকারি গাছ তিনি বেআইনিভাবে বিক্রি করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং তার নিয়োজিত লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও পরিষদ পরিচালনা করে থাকেন।
অভিযোগকারী আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ কিংবা ইউপি সদস্যরা কোনো প্রশ্ন তুললে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পূর্বে তার নির্দেশে দুইজন ইউপি সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করে পঙ্গু করা হয়। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে একাধিকবার ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।”
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বাসিরুল আজিজ (হাসান) বলেন, “সরকারি গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ একটি গুরুতর অপরাধ। তিনি দ্রুত তদন্ত করে আসমা তারাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ (গ্রহণ) করেননি।

Discussion about this post