মাহাবুল ইসলাম, গাংনী, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে অবৈধভাবে বাড়ির মেইন গেটে ইটের স্তুপ ফেলে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও প্রাণনাশের আশংকায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি), সকালের দিকে সরেজমিনে চিৎলা গোরস্থান পাড়ায় গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে মেলে।
এর পূর্বে গত রোববার বিকেলের দিকে চিৎলা গোরস্থান পাড়ার চাকুরির সুবাদে ঢাকা অবস্থানকারী আমিনুল ইসলামের ছেলে মাহাদী হাসান (১৭) বাজার থেকে কাঠ ফাড়াই করে তা মেইন গেট দিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে পাশের বাড়ির মৃত কুদরত আলীর ছেলে মহাসিন (৪০), মহাসিনের ছেলে শামীম (২৫) ও মহাসিনের স্ত্রী ছানোয়ারা (৩৭) বাঁধা প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। এক পর্যায়ে মাহাদীর নানা সাবেক ইউপি সদস্য শফিউর রহমান সেখানে উপস্থিত হলে তিনাকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করা হয়। একই সাথে ইটের স্তুপ এনে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির মেইন গেটের মুখে রেখে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। ইট না রাখার জন্য নিষেধ করা হলে আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ও ছেলে মাহাদীকে নানাভাবে হুমকী-ধামকী প্রদান ও ভয়ভীতি প্রদান করা হয়।
এহেন ঘটনায় রোববার রাত ৯ টার দিকে বিবাদী চিৎলা গ্রামের মহাসিন, শামীম ও ছানোয়ারার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সাবেক ইউপি সদস্য শফিউর রহমান।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য বসা হলেও সমাধান মেলেনি। পরে সাবেক ইউপি সদস্য শফিউর রহমান বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ থাকে যে, ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির পাশে কিছু সরকারি খাশ জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে চলাচলের রাস্তা করে তিনারা ৫/৬ টি পরিবারের লোকজন চলাচল করে কিন্তু বিবাদীগণ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে অন্যায় ভাবে চলাচলে বাঁধা প্রদানসহ গালি-গালাজ এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকী-ধামকী প্রদান করে।
এবিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চলাফেরার স্বাধীনতা হরণকারী এবং হুমকীদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

Discussion about this post