মেহেরপুরের গাংনীতে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় মোকারম হোসেন (৪২) নামের একজন নিহত হয়েছে। এসময় আরো মোতালেব হোসেন সাগর (৩৮) নামের আরো একজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার তেরাইল বাজারের অদুরে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোকারম হোসেন কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বনপাড়া গ্রামের সজিবুর রহমানের ছেলে ও মোতালেব হোসেন সাগর রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাসিন্দা।
বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইছাহাক আলী বলেন,বামন্দী গামী একটি মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে যাত্রীবাহি একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মোকারম হোমেন নামের একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার ও আহত মোতালেব হোসেন সাগরকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মোকারম হোসেন ও মোতালেব হোসেন সাগর এসিআই কোম্পানির খাদ্যপণ্যের মেহেরপুর জেলার প্রতিনিধি হিসেবে চাকরী করতেন। তারা প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন বামন্দী এলাকায় বিভিন্ন দোকানে মালামাল অর্ডার নেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম বলেন, দূর্ঘটনাস্থল ভাঙ্গাচোরা ছিলো। ভাঙ্গাচোরা সড়কের কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক চলাচলে অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। সড়কের প্রতিটা স্থান মরদ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রাথমিক সংস্কার না করলে আবারো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেলেও বাসটি স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে। নিহত ও আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

Discussion about this post