প্রতিবেদক গাংনী: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলে আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে গাড়াবাড়িয়া দরগাতলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত ফড়িং শেখের ছেলে আবুল হোসেন (৫৮) ও তার ছেলে বেল্টু হোসেন (২৫)। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আহত আবুল হোসেন জানান, তার ছেলে বেল্টুকে কৌশলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী গোপালের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে গোপাল ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা লাইলন দড়ি দিয়ে বেঁধে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে থাকে। ছেলের চিৎকার শুনে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত বেল্টু হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামের রববিল্লার ছেলে গোপালের সঙ্গে আমি কিছুদিন ধরে চলাফেরা করছিলাম। কয়েকদিন আগে মিথ্যা প্রলোভনে আমাকে হরিরামপুর গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আবার আমাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর পরিকল্পিতভাবে একদিন আমাকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি তার কথা বিশ্বাস করে গেলে, সে আমাকে বেঁধে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, গোপাল অভিযোগ তোলে যে, আমি তার ‘মাল’ ধরিয়ে দিয়েছি এবং সেই অভিযোগে আমার প্রায় ১৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। আমার চিৎকার শুনে আমার বাবা ছুটে এলে তাকেও রড দিয়ে আঘাত করা হয়। বেল্টুর দাবি, গোপাল দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মাদক ব্যবসা করে আসছে। কে বা কারা তার ‘মাল’ ধরিয়ে দিয়েছে সে জানে না। শুধু সন্দেহের বশে তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোপাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেন। গোপাল দাবি করেন, “বেল্টু আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। পরে সেই টাকা অস্বীকার করে। এ কারণে তাকে আমি আমার বাড়িতে আটকে রেখেছিলাম, তবে মারিনি। বরং তারা আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও আমাকে মারধর করেছে।” টাকা ধার নেওয়ার কোনো প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমন কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই, তারা গোপনে নিয়েছিল।”
এবিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Discussion about this post