মেহেরপুরের গাংনীতে অসুস্থ দাদীকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্বামীর বাড়ির নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে উধাও হয়েছেন আদরী খাতুন (২৮) নামের ২ সন্তানের জননী।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর), এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক আদরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আমানুল্লাহ (৩৮)।
জানা যায়, আমানুল্লাহ প্রায় ৯ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গাংনী উপজেলার রায়পুর গ্রামের মৃত সোয়ব আলীর মেয়ে আদরী খাতুনের সাথে। সুখের সংসার আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেন ফুটফুটে জান্নাতী খাতুন (৭) ও রুকায়া খাতুন (৪) কিন্তু সে সুখ আর ভালো লাগেনি আদরী খাতুনের।
গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সময় মতো ফিরে না আসায় শ্বশুর বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আদরী খাতুনের কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত দু’টি ফোন নাম্বার ০১৯২৫….২৭ ও ০১৭৬….০৩ নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, কারো সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। তবে কার সাথে গেছে তা নিশ্চিত নন।
ওবায়দুল্লাহ’র স্ত্রী শাপলা জানান, গত ২ বছর ধরে আদরী আপা মাঝে মধ্যে ফোনে কথা বলতো। তবে গত ৫/৬ মাস ধরে ফোনে কথা বেশি বলতে শুরু করে। তবে কার সাথে বলতো তা অজানা। আমরা কেউ ধারণা করতে পারিনি উনি এমন ভাবে পরকীয়া করে স্বামী সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাবেন। তিনি গেলেন বটে কিন্তু মান ইজ্জত সব বিলিয়ে গেলেন।
প্রতিবেশীরা জানান, সম্প্রতি দু’মেয়েকে পাড়ার অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধূলাতে পাঠিয়ে গাংনী উপজেলা শহরে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন। তাছাড়া হঠাৎ করে তার পরিবর্তন সন্দেহজনক। ইতিপূর্বে গ্রামের মেয়েদের মতো থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে সাজুগুজু হয়ে থাকতে দেখা গেছে। হতে পারে কারও সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পর এ পরিবর্তন।
ভুক্তভোগী আমানুল্লাহ জানান, আমাকে না জানিয়ে সে এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। তাছাড়া আমাকে রীতিমতো নিঃস্ব করে গেছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান।
গাংনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, আমি গত ২ দিন ধরে কাথুলী ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তিনি এবিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ডিসেম্বর ২৯,২০২২//