মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ২য় পর্যায়ের অনুমোদিত (ইজিপিপি) প্রকল্প সমূহের মাটি কাটা কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকল্প চেয়ারম্যান লক্ষ লক্ষ টাকা টাকা ভাগাভাগি করার মত দূর্নীতি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য নেয়া কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে সর্বমাট শ্রমিকদের নামের তালিকা করা হয়েছে ২৬৩১ জন।
গাংনী রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্যরা সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানতে পারে, বামন্দী ইউনিয়নের গার্লস স্কুলের মাঠ, নিশিপুর পলাশের দোকান থেকে রফিকুল ফরাজীর বাড়ি যাওয়া মুখি রাস্তা ও বামন্দী ঈদগাহ থেকে আড়কান্দি মাঠে যাওয়া রাস্তা মাটি ভরাট ও সংস্কার প্রকপ্লে নির্ধারিত ৪৭ জনের মধ্যে পুঃ ২০ ও ১৬ জন নারীসহ মোট ৩৫ জনকে উপস্থিত পাওয়া গেছে।
একই ইউনিয়নের দেবীপুর ভিটাপাড়া মকতবের কাছ হইতে ইয়ার আলীর বাড়ি পর্যন্ত ও বালিয়াঘাট আবজালের বাড়ি হইতে রহমানের বাড়ি মুখি রাস্তায়ও একই অবস্থা মাটি ভরাট সংস্কার প্রকল্পের নির্ধারিত ৪৫ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও পুঃ১৫ ও মঃ ১৪ জনসহ মোট ২৯ জনকে উপস্থিত পাওয়া গেছে,
অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব তালিকার প্রকৃত হতদরিদ্র শ্রমিকদের নাম বাদ দিয়ে পিআইসিগণ স্বজনপ্রীতি ও আত্মীয়করণের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নিজেদের অনুগত বিত্তবান লোকজনকে শ্রমিকদের তালিকা করেছে। অনেক শ্রমিক কাগজে কলমে থাকলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
একই চিত্র শাহারবাটি ইউনিয়নেও লক্ষ করা গেছে, জোড়পুকুরিয়া গুলমাগাড়ী ব্রীজ হতে খলিল মাষ্টারের ডিপ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে সংস্কার ও প্রকল্পে নির্ধারিত ৪৪ জনের মধ্যে পুঃ ৩২ জনকে উপস্থিত পাওয়া গেছে, একই ইউনিয়নের ধর্মচাকি হাজী জিল্লুর রহমানের বাড়ি হতে চোখতলা মেইন রাস্তা পর্যন্ত মুখি রাস্তা মেরামতে নির্ধারিত ৪৪ জন শ্রমিকের মধ্যে পুঃ ১৯ ও নারী ১৫জনসহ মোট ৩৪ জনকে উপস্থিত পাওয়া গেছে।
গাংনী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নেই (ইজিপিপি) প্রকল্পের এই শ্রমিকদের নিয়ে চলছে নয়ছয়ের ঘটনা। এবিষয়ে বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কোমল বলে, শ্রমিক কম থাকার বিষয় টি আমি শুনেছি এবং শোনার পরে আমি পিআইসি দের সাথে কথা বলেছি। আগামীদিনে আর কোন শ্রমিক কম উপস্থিত থাকবে না।
সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে, আমার ইউনিয়নের যেকোন শ্রমিক আমি যেকোন জায়গায় কাজে লাগাতে পারি, এবং সে রাগান্বিত হয়ে আরও বলে আপনাদের বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশ হবে।
গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আমরা শতভাগ কাজ করানোর চেষ্টা করছি। যে কয়জন শ্রমিকের উপস্থিতি পাওয়া যাবে সে কয়জন শ্রমিকের বিল দেওয়া হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ২৫, ২০২২//

Discussion about this post