মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ি গােলাম মােস্তফা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না—–রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি মা, ২ সন্তান, ভাই-বােনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গােলাম মােস্তফা গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের মৃত ওমেদ আলী বিশ্বাসের সেজাে ছেলে। গোলাম মােস্তফা দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি জটিল রােগে ভূগছিলেন।
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে তিনি সকালে নিজ বাসভবন গাংনী উপজেলা শহরের শিশিরপাড়ায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার ৭-ঘণ্টা পর তিনার মৃত্যু হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গােলাম মােস্তফার নিজ গ্রাম গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গােরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন তিনার পরিবাবের সদস্যরা।
গােলাম মােস্তফার রাজনৈতিক জীবন ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তি তিনি যুবলীগ, কৃষক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষে তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি রাজনৈতিক কারণে প্রশাসনের মামলা-হামলার শিকার হয়েছিলেন। গােলাম মােস্তফা শুধু রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। এর পাশাপাশি তিনি অসহায় মানুষের চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্রসহ নানা সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। গোলান মােস্তফা ছিলেন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদা সােচ্চার।
এদিকে, সংগ্রামী এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শােক প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হােসেন, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খােকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হােসেন, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,২৫ মার্চ ২০২৩

Discussion about this post