প্রতিবেদক গাংনী: মেহেরপুরের গাংনী থানার এএসআই তাওহিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন এবং টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র সাহিদুল ইসলাম।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে গাংনী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সভায় সাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এএসআই তাওহিদ। সে কিভাবে এখনও গাংনী থানায় বহাল তবিয়তে রয়েছে, তা আমরা জানতে চাই।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এএসআই তাওহিদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা থানায় গেলে তাদের কাজ হয় না, অথচ আওয়ামী লীগের কেউ টাকা দিলে কাজ মুহূর্তে হয়ে যায়।
সাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, সম্প্রতি সাহারবাটি এলাকা থেকে তাস খেলার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে ছয়জনকে আদালতে চালান দেওয়া হয়, কিন্তু একজনকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন এএসআই তাওহিদ। তিনি আরও বলেন, এএসআই তাওহিদ ব্যক্তিগত একটি প্রাইভেটকার কিনেছেন এবং সেই গাড়ি ব্যবহার করে আসামি ধরতে যান।
এছাড়া সাহারবাটি গ্রামের রাজন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগও করেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় রাজনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এএসআই তাওহিদসহ অপকর্মে জড়িতদের গাংনী থেকে বিতাড়িত করতে পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামে নামবে। আওয়ামী লীগের দোসরদের আমরা গাংনী থানায় রাখতে চাই না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই তাওহিদ বলেন, ২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে থেকে আমি গাংনী থানায় কর্মরত আছি। ওসি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি সেভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো অন্যায় করিনি।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, ঘটনার সার্বিক বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে।