Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 2:17 pm

গাছের ছত্রাক যখন উপার্জনের মাধ্যম

মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে কতো ভাবে যে জীবিকা নির্বাহ করে তার ইয়াত্তা নেই। গাছের পোকা মাকড় বিক্রী করে অনেকের সংসারে লেগেছে স্বাবলম্বীর হাওয়া ৷

হ্যাঁ যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুরের অনক প্রান্তিক মানুষ শিশু গাছের (রোড শিরিস) সংক্রমিত ছত্রাক এখন উপার্জনের মাধ্যম। যশোরের জেলার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোররা প্রতিদিন কাঁক ডাকা ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়ছে শিশু গাছের ভাইরাস পোকার সন্ধানে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এরপর পিকআপ ভরে চলে যাচ্ছে এর পাইকারী মোকামে।
শিশু গাছের ভাইরাস পোকার চরম চাহিদার বিপরীতে আবাল বৃদ্ধবণিতা সকলের চাই এই পোকা। আর তাই দাঁড়িয়ে থাকা জীবিত গাছের সংক্রমিত ডাল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। কয়েকটি স্পট থেকে এজেন্ট হিসেবে পোকা কিনে তাদের তত্ত্বাবধায়নে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চালান পাঠানো হচ্ছে। প্রথমে পোকার দাম কেজি প্রতি ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও ক্রমশ আশাতীত যোগান পাওয়ায় দাম কমেছে। বগুড়া, ফেনী ও কুষ্টিয়াতে পাঠানো হয় । এগুলো দিয়ে এক ধরনের আঠা ও আসবাবপত্রের রং তৈরি হচ্ছে ৷

কেশবপুরের সন্যাগাছা গ্রামের পোকা ব্যবসায়ী বিল্লাল সরদার বলেন, কিছুদিন আগে আমার সংসারে খুব অভাব ছিল। পোকার ব্যবসায় নেমে কাঙ্ক্ষিত লাভ হয়েছে। পোকার ব্যবসায় আমার মতো অনেকের ভাগ্য বদল হয়েছে। অনেকে বাড়ি-গাড়িও করেছেন। তারা এখন পরিবার নিয়ে ভালো আছেন। মনিরামপুরের নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজান হোসেন বলেন, আমরা যতদূর জেনেছি যে এই পোকা দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ, মোম, আঠা এগুলো তৈরি করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদরা বলছেন, এই পোকা দিয়ে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি হলেও এটি গাছের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। এই পোকাগুলো দিয়ে ফার্নিচারের বার্নিস, রং, রেল উপকরণসহ বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয়। এগুলো কৃষকরা ভারতে বিক্রি করছেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//