Print Date & Time : 19 April 2025 Saturday 5:55 am

গাজী রহমতুল্লাহ বীর প্রতীক’র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি॥ মুক্তিযুদ্ধকালীণ নৌকমান্ডোর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ গাজী রহমতুল্লাহ’র আজ পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট খুসনার শেখ পাড়ার বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোচিত ভূমিকার জন্য ১৯৭৩ সালে সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।

গাজী রহমতুল্লাহ ১৯৩৯ সালের ৪ এপ্রিল খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গড়ুইখালী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শহর আলী গাজী ও মাতা অভিরন্নেছা, স্ত্রী সাহানা, তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ১৯৫৪ সালে জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৬ সালে বিএল কলেজ থেকে আই এ এবং ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানডন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে নৌবাহিনীতে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীণ ১৯৭১ সালে ৯ এপ্রিল পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে ভারত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পাঁচশ নৌ কমান্ড নিয়ে ১৩২টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করেন। তারা ৫ ভাই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দুই ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। তিনি আশাশুনি, চাপড়া, মোংলা, কপিলমুনি ও রেডিও সেন্টার যুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭১ সালে ১৭ ডিসেম্বর নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর জয়নাল আবেদীনের সাথে খুলনা সার্কিট হউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তার অমর সৃষ্টি গড়–ইখালীতে শহীদ আবু মুসা মেডিকেল কলেজ স্থাপন। ১৯৮০ সালে সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল স্থাপনে অসামান্য অবদান রাখেন। ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ আশাশুনির প্রতাপনগরে ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামফলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের এটি একমাত্র নামফলক।