মনিরুজ্জামান জুলেট, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার আইলা,সিডর,আমফানসহ বেশ কিছু দুর্যোগে বিধস্ত দ্বীপ ইউনিয়ন।ইউনিয়নটিতে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে,৩০কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রয়েছে।স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গাবুরা ইউনিয়নকে সরকার এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেগা প্রকল্পের কাজ ও শুরু করেছেন।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়,গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং সোরা,চাঁদনীমুখা,হরিশখালি ডুমুরিয়া সহ বেশ কিছু এলাকার বেড়িবাঁধের ধারে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যথায় সরে যাওয়ার জন্য আদেশ করেছেন কর্তৃপক্ষ,এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিন বসতি স্থান থেকে ঘর বাড়ি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে ।
তবে ঐ এলাকার বসতি মানুষের বাস্তভিটা থেকে চ্যুত হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজবার ঠাঁই হচ্ছে না বেশ কিছু পরিবারের।গাবুরা ৯ নং সোরা চাঁদনী মুখা এলাকার মানুষের দুরবস্থা লক্ষ্য করা যায়।অনেক অভিযোগ করে বলেন,বেড়িবাঁধের কোলে ঘর বেঁধে সারা জীবন বসত করে আসছি,আমাদের বাপ দাদাদের পৈত্রিক সম্পত্তি না থাকায় আমরা এসব স্থানে ঘর বেঁধে বসবাস করতাম,হঠাৎ আমাদের এই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ায় অন্যথায় যাওয়ার সুযোগ না থাকায় আজ আমরা গৃহ হারা হয়েগেছি।
৯নং সোরা গ্রামের ইয়াকুপ শেখ বলেন,বাপ দাদার আমল থেকে বাস করে আসতেছি এই রাস্তার পাশে আজ আমাদের ঘর ভেঙে দিতে হচ্ছে,আমারা এখন কোথায় যাবো,নেই বাড়তি জমিজমা তাই সরকার আমাদের জন্য ৯ নং সোরার চরে একটা গুচ্ছো গ্রাম করে দেক আমারা সেখানে একটু বাসকরতে পারবানে।স্থানীয়রা বলেন,আইলার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে গাবুরা বাসি এই বেড়িবাঁধের কারনে।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ৯ নং সোরা নদীর চরে হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি গাবুরা ইউনিয়নের মানুষের কথা মাথায় রেখে একটি গুচ্ছোগ্রাম তৈরি করে দিত,তাহলে এই মানুষগুলো হয়তো মাথা গোজার ঠাঁই খুজে পেত বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post