মামুন নূর উদ্দিন মিয়া, মেহেরপুর (কুষ্টিয়া): সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় গার্ডার চাপায় পাঁচজনের মধ্যে নিহত হৃদয়ের বাবা আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫ মেহেরপুরের রাজনগর গ্রামের সন্তান ।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া হৃদয় বলেন, আমরা গতকাল বৌভাত শেষে আমার বাবার গাড়িতে করে কাওলা থেকে শ্বশুরবাড়ি আশুলিয়ার যাচ্ছিলাম। আমার বাবা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওনার বাম পাশে আমি বসেছিলাম। আমার ঠিক পেছনে আমার স্ত্রী ছিলেন। তার ডান পাশে আমার শাশুড়ি এবং খালা শাশুড়ি তার দুই সন্তান নিয়ে বসেছিলেন। পথে জসীমউদ্দীন রোড পার হওয়ার পর বিআরটির একটি গার্ডার আমাদের চাপা দেয়। মুহূর্তেই ৭০-৮০ টনের একটি গার্ডার আমাদের গাড়ির উপরে পড়ে। আমি শুধু আমার বাবার মুখটা দেখেছিলাম। পরে স্থানীয় ও পুলিশের সহায়তায় আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর আর কিছু বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, এমন একটি ঘটনা চোখের সামনে ঘটে গেল সেটি কখনোই ভুলতে পারব না। এখানে রাতে কাজ করা উচিত ছিল। কারণ ওই সময় সড়কে গাড়ি কম থাকে। আমার বাবার মরদেহ নিয়ে মেহেরপুর জেলায় চলে যাব। সেখানে আমার বাবার ওসিয়ত (ইচ্ছে অনুযায়ী) মতে দাদা দাদির কবরের পাশে দাফন করা হবে। আমার শাশুড়ি, খালা শাশুড়ি ও তাদের দুই সন্তানের মরদেহ জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এঘটনায় আহত হন দুই জন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post