সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট:
জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাঠ ময়নার চড়া গ্রামে গৃহবধুকে দূর্বৃত্তরা গণধর্ষণ করে সেটা ওই নারীর সন্তানের
মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়ে মামলা না করার হুমকি দিয়েছে।এই ঘটনায় ১২ নভেম্বর রাতে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
পরিবারটি এই ঘটনায় শাস্তির দাবি করেছে।শুক্রবার গণধর্ষিতার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গ্রামবাসি
চন্দনপাঠ বাজারে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ
মিছিল করেছে।জানা গেছে,দূর্বৃত্তরা কাঁথা সেলাইয়ের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে
দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধুকে জোর করে ধর্ষন করে। এই সময় সেই গণধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারন করে রাখে। ঘটনাটি নিয়ে ৭দিন পূর্বে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করে গৃহবধুর স্বামী। পুলিশ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি করতে পারেনি। উল্টো আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার বিবরণে জানান যায়, গত ৯ নভেম্বর বিকেল চারটায় গৃহবধুর প্রতিবেশী আসাদ মিয়া (৫০) বাড়িতে তার প্রতিবেশী গৃহবধু (৪৩) কে বলেন, কাঁথা সেলাই করার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী গৃহবধু তার বাড়িতে গিয়ে দেখে ফাঁকা বাড়ি। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসাদের অন্য দুই সহযোগী মিলন মিয়া (৪০) ও কুলু মিয়া (৪৫) অস্ত্রেও ভয় দেখিয়ে বসত ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে জোর পূর্বেক কয়েক জন মিলে গণ ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষনের দৃশ্য
ভিডিও করে রাখে। এসময় দূর্বৃত্তরা গৃহবধুকে হুমকী দেয় এ কথা
কাউকে জানালে তার দুই সন্তান ও স্বামী কে মেরে ফেলবে। দূর্বৃত্তরা ঐ গৃহবধুর পরিবারের কাছে জমি জমা বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দেয়। মোটাদাগে অর্থ দাবি করে বসে। ঘটনার দুই দিন পর গৃহবধুর বড় ছেলে মোবাইল ফোনে মাকে ধর্ষণের দৃশ্য ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়। মায়ের এই পরিণতি দেখে ছেলে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে আদিতমারী থানায় গৃহবধু নিজেই বাদি হয়ে গত ১২নভেম্বর আসাদ মিয়া (৫০), মিলন মিয়া (৪০) ও কুলু মিয়া (৪৫) কে আসামী
১টি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করেছে কিন্তু রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ১টি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলাটি নিয়ে কাজ করেযাচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//