কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: সরকার পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম এ. জেড ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অপচেষ্টা চলছে।
প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ও কিছু সহকারী শিক্ষক মিলে অফিস কক্ষে বসতেসোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা যায়, অধ্যক্ষেরচেয়ারে বসে খাওয়া দাওয়া করছেন উপাধ্যক্ষ এইচ এম সোহরাব হোসেন। এমনকিদিচ্ছেন না অধ্যক্ষকে।সেখানেই নিয়মিত অফিস করছেন তিনি।
তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অধ্যক্ষেরএখতিয়ার নেই তার।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাব বলেন, সহকারী শিক্ষকরা মিলে আমাকে এখানেঅবর্তমানে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারলেও, অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার কোনোবসিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার কোনো সদুত্তর তিনি না দিতে পারলেও দাবি করেন,বর্তমান অধ্যক্ষ তার নানাবিধ অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানে আসতে পারছেন না।এদিকে এ বিষয়ে নিউজ করতে প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হলে আগ্রাসী আচরণ শুরুকরেন একদল শিক্ষক। ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন সংবাদকর্মীদের। এমনকিক্যামেরার মেমোরি কার্ড কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, ডিলিট করে দেন সমস্তডাটা।
এ সময় উত্তেজিত শিক্ষকরা বলেন, ১৭ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত হয়েছি এখন আমাদের পালা। অধ্যক্ষের চেয়ারে উপাধাক্ষ বুঝতে পারেন কিনা, সংক্রান্ত এক প্রশ্নেরউত্তরে খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা বলেন, অধ্যক্ষ সাইদুল
ইসলাম মাদ্রাসায় যেতে অস্বস্তি বোধ করছেন। এজন্য উপাধাক্ষকে দায়িত্ব পালন করতে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। তবে সেই নির্দেশনার বলে তিনি অধ্যক্ষেরচেয়ারে কোনোভাবেই বসতে পারেন না। প্রয়োজনে কোন কাগজপত্র আনতে সেখানেতিনি যেতে পারেন।এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এখানে শিক্ষার নামেলুটতরাজ চলছে। যেই দায়িত্বে আসুক তাকে আগে শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতেহবে, নয়তবা কেউই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
এব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম জানান, আমি কোন অনিয়ম দূনীতি করিনি। পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে সব কিছু করা হয়। যারা শিক্ষক প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন ভাউসারে স্বাক্ষর করেছে তারাই এখন অভিযোগ দিচ্ছে।তিনি বলেন, তদন্তের সময় সব প্রমানাদী দেখাবো। তারা আমাকে মাদরাসায় ঢুকতে দিচ্ছেনা, এটা কী অন্যায় নয়? একটি মহল ভিন্নভাবে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান।