ইরফান উল্লাহ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস.এম. সুইট বলেন,”গোলার জবাবে দোয়া চলে না। যতদিন মুসলিম বিশ্ব এই সহজ সমীকরণ বুঝতে পারবে না ততদিন পৃথিবীর প্রত্যক জায়গায় এভাবেই মার খেয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে ঘন্টা বেজে উঠেছে সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যেই আমাদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকবে না। ইটের বদলে পাটকেল মারতে হবে।”
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
তিনি আরও বলেন, ” আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ইজরায়েলের দ্বারা এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সম্ভব ছিল না। আমরা ইসরাইলকে বয়কট করবো। এবং এর পেছনে যারা শক্তি যোগায় তাদের দিকেও লক্ষ্য রাখবো । বাংলাদেশের গণহত্যার মতো ফিলিস্তিনের গণহত্যাকেও নগ্নভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে ভারত।”
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, মুসলিম উম্মাহ আজ বিভক্ত, যার ফলে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। তারা মুসলিম নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং ইসরায়েলি পণ্যের বয়কটের দাবি তোলেন।
এছাড়াও তারা জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা এবং আরব বিশ্বের উদাসীনতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত হয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

Discussion about this post