কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চার ঘণ্টা পরে মিম খাতুন (১৩) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিঁখোজ রয়েছেন তাঁর খালা চামেলী খাতুন (৩০)। সোমবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদীতে এঘটনা ঘটে।
নিহত মিম ওই এলাকার গাফ্ফার মোল্লার নাতনি ও খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের দুধসারি গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে। নিঁখোজ চামেলী গাফফার মোল্লার মেয়ে ও একই ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের তরিকুলের স্ত্রী।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১ টার দিকে জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদে মিম, তাঁর খালা চামেলী, নানী রাজিয়া (৫৫) ও মামাতো বোন নীলা (১২) গোসল করতে যায়।
গোসলের সময় সাঁতার কাঁটতে গিয়ে মিম নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় মিমকে খুঁজতে গিয়ে নানী, খালা ও মামাতো বোনও নদীতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা টের পেয়ে নানী ও খালাতো বোনকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। কিন্তু মিম ও তার খালা চামেলী খাতুনকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। এর পর নিঁখোজের প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটের দিকে নদী থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে এখনও খালা চামেলী খাতুনের সন্ধান মেলেনি।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নজরুল ইসলাম মিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, নদীতে ডুবে যাওয়া খালা চামেলী খাতুনকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, গোসল করতে গিয়ে দুইজন নিঁখোজ ছিলেন। স্থানীয়দের সহযোগীতায় মিম নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ চামেলীকে উদ্ধারের জন্য খুলনা থেকে ডুবরী দলকে তলব করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিঁখোজ দুজনের একজনের লাশ পাওয়া গেছে। অন্যজনকে উদ্বার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//