মোঃ খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার সাতটি ইউনিয়ন।
একসময় এলাকাটি ছিল শাল-গজারিতে ভরপুর। সবুজে ঘেরা শাল-গজারির নয়নাভিরাম দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়ত। অথচ, একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সেসব মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করছে বিভিন্ন এলাকায়। যাদের সঙ্গে বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সখ্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন বটতলি বিটের আওতায় ভেলুয়াটিকি (বাইগেরচালা) নামক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ একটি চক্র ১০ লক্ষাধিক টাকা সমমূল্যের কমপক্ষে ৫ শতাধিক শাল-গজারি কেটে নিয়ে গেছে। বটতলি বিটের অনতিদূরে প্রকাশ্যে শাল-গজারি কাটা হলেও ওই বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরেস্ট গার্ড (এফজি) নুরুল ইসলাম যেন কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে যুগান্তরের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ধ্বংস করছে মূল্যবান এসব বৃক্ষ। পাশাপাশি সেগুনসহ সংরক্ষিত বনের অন্যান্য গাছগাছালিও কাটা হচ্ছে দেদার। অসাধু একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা ঢুকছে বন কর্মকর্তাদের পকেটে। আর কেউ এর প্রতিবাদ করতে গেলে কিংবা বিটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে জানালে উলটো মামলা ঠুকে দেওয়া হয় তাদের নামে। শুধু বটতলি বিট নয়; ধলাপাড়া রেঞ্জের ৬টি বিটেই চলছে শাল-গজারি কাটার হিড়িক। সম্প্রতি ঝড়কা বিটের সন্ধানপুর মৌজার সাতকুয়া নামক স্থানে ১০ একর জায়গার শাল-গজারি ও আকাশ মনি প্লট কেটে কলা চাষ করা হয়েছে। একইভাবে মানাঝি মৌজায় ২০ একর সরকারি প্লট কেটে কলা ও লেবু চাষ করা হয়েছে। কুচখিরা মৌজায় ২৫ একর সরকারি বাগান কেটে চাষ করা হয়েছে। জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, জনবল স্বল্পতায় আমরা সব জায়গায় যেতে পারি না।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post