সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোক্ত ওই শিক্ষক মো. রহমতুল্লাহ বইগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বই বিক্রির সময় বইসহ একটি পিকাপ গাড়ি আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রহমত উল্লাহ স্থানীয়দের কৌশলে বাগে আনার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারন করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই বই বিক্রির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়াতে থাকে। পরে এ ঘটনায় এলাকায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী রিপন মিয়া বলেন, আমি মঙ্গলবার ভোরে স্কুল গেইটের সামনে একটি ছোট পিকআপ দাঁড়াতে দেখি। গাড়ির কাছে গিয়ে স্কুলের সরকারি নতুন বই বিক্রির ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখি। পরে রহমত উল্লাহ স্যারের অনুরুধে গাড়িটি ছেড়ে দেই।
এসএসসি পরীক্ষার্থী নাজমুল এবং শান্ত জানান, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু সাকালে বই বিক্রির ঘটনাটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী। সকলের সামনে গাড়ির সামিয়ানা খোলে নতুন বই পাওয়া যায়’।
স্কুলের সামনে চা বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, খুব সকালে রহমত উল্লাহ স্যার, নতুন বইসহ একটি পিকআপ এবং স্থানীয় কয়েকজনকে কথা বলতে দেখেছি।
অবৈধভাবে সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে অভিযোক্ত ওই শিক্ষক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আমি কোনো বই বিক্রি করিনি। পরে বই বিক্রির ওই ভিডিও দেখালে তিনি বলেন, ‘ উইপোকায় খেয়ে ফেলা কিছু খাতাপত্র বিক্রি করেছি’।
সাগরদিঘী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি মো. এসকান্দার হক জানান, ‘বই বিক্রির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না’।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বই বিক্রির প্রমান পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো’।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৩১ মে ২০২৩

Discussion about this post