মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: মির্জাপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। দেড় মিনিটের ঘূর্ণি ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ মে) রাত সারে নয়টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে এ ঘূর্ণি ঝড় হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (২৮ মে) বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মো. আলী আহম্মদ এবং উত্তর পেকুয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুস সামাদ মিয়া জানান, গতকাল শুক্রবার রাত সারে নয়টার দিকে হঠাৎ করে আকাশে কাল ধোয়া ও কুন্ডলীর মত হয়ে ঘূর্নিঝড়ে রুপ নেয়। মুহর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙ্গে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হযে পরে। এ সময় লোকজনের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। উপজেলার পাথরঘাটা, শিরঘাটা, দরানিপাড়া, পেকুয়া, উত্তর পেকুয়া, বংশীনগর, কাইতলা, মুচির পুকুরপাড়, তক্তারচালা, আউশাচালাসহ কয়েকটি গ্রাম লন্ড ভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। লোকজন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন, কয়েকটি এলাকায় ঝড়ে ল্ড ভন্ড হয়েছে বলে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে কেউ লিখিত ভাবে জানায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকা সংগ্রহ করে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান কার হবে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকা পেলে অগ্রাধিকার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি ও এফবিআইসিসির পরিচালক খান আহমেদ শুভ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যে সব এলাকায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থাানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্ময় করে তাদের তালিকা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//