স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্তক ও নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিপিপি কর্মীর প্রচার ও জনসচেতনতায় মসজিদে মসজিদে মাইকিং
ভোলার মনপুরা উপকূলে ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাত থেকে ঝড়ো বৃষ্টি বইছে। মনপুরার লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণীঝড় চিত্রাং আতংক ভুগছে। মেঘনা উত্তাল ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় মনপুরার সাথে ভোলা ও ঢাকার যোগাযোগারে একমাত্র মাধ্যম নৌপথে সকল লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই উপকূলের লক্ষাধিক বাসিন্দা।
সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় মাঠ-ঘাট, উপজেলার রাস্তা, পুকুর-ডোবা সব পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল ভূ-খন্ডের বেড়ীর বাহিরে মেঘনার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজির হাট ইউনিয়নের সোনারচর গ্রামের পশ্চিম বেড়ীবাধঁ জোয়ারের তোড়ে যেকোন সময় ভেঙ্গে পানি ঢুকতে পারে। খবর পেয়ে স্থানীয় হাজির হাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন হাওলাদার স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে বেড়ীবাধঁ মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে উপকূলে পানিতে উঠতে পারে ও নিরাপদে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সিপিপি কর্মীরা সোমবারে সকাল থেকে মাইকিং করছে। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়ছেন স্থানীয় মানুষ।
জানা যায়, ঘূণীঝড়ের কারনে মনপুরা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি ফারহান ও এমভি তাসরিফ, মনপুরা- তজুমুদ্দিন রুটের লঞ্চ সার্ভিস এমভি রাতুল, মনপুরার জনতা থেকে চরফ্যাসনের বেতুয়া ঘাটে চলাচলকারী লঞ্চ, মনপুরা থেকে হাতিয়া, মনপুরা থেকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে চলাচলকারীর ট্রলার সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ। এতে জেলা ও ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দ্বীপ মনপুরা।
সকাল থেকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাসিন্দাদের সর্তক করতে ও নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র যেতে সিপিপি কর্মী ও উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আ’লীগ লোকজন মাইকিং করছেন। মেঘনায় পানি বিপদসীমার ওপর প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এতে সোনারচর, দাসের হাট, চরজ্ঞানের বেড়ীর বাহিরে নিমাঞ্চল ডুবে গেছে। এছাড়াও ইউএনও, ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা যায়। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট, রাস্তা সবখানে জলাবদ্ধতা হতে দেখা গেছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০ টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার। তিনি জানান, এই সমস্ত সাইক্লোন সেন্টারে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউএনও আরেও জানান, মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন সোনার চরে ৩ জন মহিষের বাতান ও একজন বন বিভাগের কর্মী রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেড়ীর আশে পাশে ও চরের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠনোর জন্য।
এই ব্যাপারে বিআইডব্লিটিএ ভোলা জেলা সহকারি পরিচালক জানান, ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং এর কারনে মনপুরা নৌপথের সকল রুটের লঞ্চ ও সীট্রাক সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
ক্যাপসন ঃ মনপুরায় বাসিন্দাদের সরে যেতে সিপিপি কর্মীদের মাইকিং।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য// অক্টোবর ২৪,২০২২//

Discussion about this post