Print Date & Time : 23 April 2025 Wednesday 1:27 pm

চকরিয়ায় পানি শুনানি অনুষ্ঠিত

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ককসবাজার-০১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ জাফর আলম, বি (অনার্স) এম এ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে ককসবাজার জেলার চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, সুপেয় পানির প্রাপ্যতা, লবনাক্ততা বৃদ্ধির কারনে সাধারন মানুষের জীবন-জীবিককার ওপর নেতিবাচক প্রভাব শুরু হলেও এই ক্ষতি থেকে বাঁচাতে সেভাবে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি।

২২ মার্চ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে পানি অধিকার প্রচারাভিযান ওয়াটারম্যুভ ক্যাম্পেইনের আওতায় আইএসডিই বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান এবং একশন এইড বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি সরকার উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে তাহলে এই উপকূলের মানুষের সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তাই আগামি জাতীয় সংসদে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনে একটি প্রস্তাব মহান জাতীয় সংসদে আনা হবে।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে পানি শুনানীতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ককসবাজার-০১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ জাফর আলম, বি (অনার্স) এম এ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মকসুদুল হক ছু্েট্টা। আলোচনায় অংশনেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন, উপজেলা ্আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু মুছা, এমপির একান্ত সচিব আমিন চৌধুরী, ভার্চু স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মহিউদ্দীন কাদের অদুল, চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য মনজুর আলম, জিয়াউদ্দীন ফারুক। ভুক্তভোগী জনগনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমান আরা বেগম, মোবারকা বেগম, মাইমুনা খাতুন, আবু বকর সিদ্দিক, ভাচু স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর ছাত্র ইমাম হোসেন, ছাত্রী ইশরাত সুলতানা ঈশা এবং আইএসডিই কর্মসুচী সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম আরও বলেন প্রধান মন্ত্রী ১ ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখার জন্য অনুশাসন দিলেও চকরিয়াতে মিটা পানির সেচের অভাবে ১৫০০ হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদী থেকে গেছে। যা এতদাঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চকরিয়া-পেকুয়াতে সুপেয় পানির সমস্যা সমাধান করা গেলে লবনাক্ততায় জনজীবনে আরও দুর্দশা নেমে আসবে। সেজন্য জরুরিভাবে উপকুলীয় জনগোষ্ঠির জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দৃষ্ঠি আকর্ষন করবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্লইটস গেট ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠ নিয়মনীতি উপেক্ষা করার কারনে লোনা পানি ঢুকিয়ে দিয়ে মাছ ছাষের কারনে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর চিংডি চাষের নামে চকরিয়ার বৃহত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন উজাড় করে দিয়ে পরিবেশের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। একই সাথে মিটা পানির আধার মাতামুহুরী নদীর পানি ধরে রাখা, বৃষ্ঠির পানি সংরক্ষন, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রজাতির সম্প্রসারণ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার।
আয়োজিত এই শুনানিতে সুপেয় পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠী, নাগরিক আন্দোলনের কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, উপকূলে জলবায়ু ও পানি সংকট নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ, ভুক্তভোগী ৫০ এর অধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//