Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 4:55 pm

চট্টগ্রামে তিন স্কেলের কারণে সড়কে তীব্র যানজট

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট-মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড সড়কে আশেপাশে বসানো তিনটি স্কেলের জন্য প্রতিনিয়ত যানজট তৈরি হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের নীরবতায় এ সড়কে থাকা ওজন মাপার স্কেল কোম্পানীর লোকজন সড়ক দখল করে যেখানে সেখানে যানবাহন দাঁড়িয়ে রাখছেন। এ কারণেই মূলত প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

একটি গাড়ি ওজন করতে সময় লাগে ৫/ ১০ মিনিট কিন্তু স্কেলে উঠতে দীর্ঘ সময় সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পণ্যবাহী যানবাহনকে। এতে সারাদিনের ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

স্থানীয় প্রশাসন এমন সমস্যার বিষয়টি দেখেও না দেখার মতই চলছেন। ভোগান্তি শুধু যাত্রীদেরই নয় এলাকাবাসীকেও ভুগতে হয়। সময় মতো ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল কলেজে আসা যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতেও যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সদরঘাট এলাকাবাসী জানান, মাঝিরঘাট মেইন রোডে এ আর কম্পিউটার স্কেলে ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন ওজন মাপার জন্য থামানো হয়। এতে ওজন মাপতে প্রতি গাড়ি লোড আনলোডের জন্য দুইশ টাকা করে নেয়া হয়।

একটি গাড়ি ওজন করতে সময় লাগে ৫/১০ মিনিট কিন্তু স্কেলে উঠতে দীর্ঘ সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কের প্রশস্ততা খুবই কম। যার ফলে একটি গাড়ি সড়কের এক পাশে দাঁড়ালে আরেক পাশ দিয়ে গাড়ি আসা যাওয়া করতে পারে না। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। আর এই দীর্ঘতা পৌছায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটারে। সদরঘাট মোড় থেকে বারেক বিল্ডিংয়ের মোড় পর্যন্ত।

সরেজমিনে ঘুরে সড়কে দেখা যায়, ওজন মাপতে স্কেলের কাছে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ সারীতে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন লোহা, স্ক্র্যাপ ও পণ্যবাহী যানবাহন। আর তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে শতশত অন্যান্য পরিবহন। যানজটে আটকা পড়ে যানবাহনগুলোর ইঞ্জিন বন্ধ করে অলসভাবে সময় কাটাচ্ছেন চালকেরা।

এতে কর্মমুখী অনেককেই দেখা যায় গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে গন্তব্যে ছুটছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থীদের দেখা যায়, প্রচন্ড রোদে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে স্কুল কলেজের দিকে ছুটছে।

সিএনজি চালক শফি আলম বলেন, ওজন মাপার যন্ত্রের কারণে পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী পরিবহন ভোগান্তিতে পড়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ওজন মাপার স্কেল বসানো ঠিক হয়নি। এধরনের স্কেল সড়কের পাশ থেকে উঠিয়ে দেয়া জরুরী। আর নয়তো সকলেরই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। জানা যায়, সরকারি ভাবে এসব স্কেল বসানো হয়নি। ব্যক্তিগত কোম্পানী গুলো সড়ক দখল করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে এ. আর কম্পিউটার স্কেলের মালিক মোঃ ফরিদ এর শেষে ৯৯৯ ডিজিটের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে দুপুরে স্কেল মাপার কাজে ব্যস্ত থাকা পাঞ্জাবি পরিহিত জৈনিক ব্যক্তি জানান, মাঝে মধ্যে চালকরা তাড়াহুড়ো করে আগে মাপার চেষ্টা করলেই যানজটের সৃষ্টি হয়।

টিআই (প্রশাসন দক্ষিণ বিভাগ) অনিল বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এ সড়কে তিনটি স্কেল বসানোর ফলে প্রায় সময় যানজট তৈরি হচ্ছে। আমরা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি এসব স্কেল সড়কের পাশ থেকে তুলে নিতে। কিন্তু তাঁরা কেউ কথা শুনছেন না। এখন অভিযান পরিচালনা করে এসব স্কেল সরানো হবে।’

দৈনিক দেশতথ্য//এল//