চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সর্বশেষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন।
এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন, মহিলা ৪৮ জন, শিশু ৫৪ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ জ্বর হলেই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষেই বলা যাবে এটি ডেঙ্গু নাকি করোনা। এছাড়া বাড়ির আঙিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন মশক নিধনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তার ফলাফল নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। উদ্যোগ যাই হোক, ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। কারণ চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৫৪ জনই শিশু।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ রুখতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাসপাতালের শয্যাও। প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, এডিস মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে, সেজন্য ওষুধ ছিটানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখনও পরিস্থিতি তেমন জটিল পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তারপরও আমরা সতর্ক আছি।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ ঘটা করে মশক নিধন কর্মসূচি চালু করলেও এখনও সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। তাছাড়া এ কর্মসূচিও অনিয়মিত। অন্যদিকে নিয়মিত মশক জরিপ না করায় মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর শুরু হয় মশক জরিপ।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৫ সেপ্টেম্বর-২০২২

Discussion about this post