Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 12:40 am

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক গেট

আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভোগান্তিহীন যাতায়াতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক গেট।  ৬টি ই-গেটের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে মঙলবার (১৫ নভেম্বর)।

এর মধ্যে ৩টি গেট দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীরা যাওয়ার সময় এবং ৩টি গেট দিয়ে আসার সুযোগ পাবেন।  ২০২০ সালে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) থেকে এগিয়ে ই-পাসপোর্ট চালু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ৭ জুন চালু হয় সর্বাধুনিক স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা বা ই-গেট।  

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ জানান, ‘মঙলবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ৬টি ই-গেট এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাতারে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বর্তমান জনবল দিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেজন্য ইতিমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষ প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।  

জানা গেছে, ই-গেট ব্যবহারের জন্য যাত্রীর অবশ্যই ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে। প্রথমে ই-গেটের প্রবেশপথে নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত পৃষ্ঠা স্ক্যান করতে হবে। সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সব তথ্য যাচাই হলে খুলবে প্রথম ধাপ। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর তাৎক্ষণিক পাওয়া মুখমণ্ডল মিলানো হবে। মুখমণ্ডল মিলে গেলে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেটও। সার্ভার এবং সিষ্টেম ঠিক থাকলে ২০-২২ সেকেন্ডের মধ্যেই একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন শেষ হবে।  

কোনও কারণে ই-পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে বর্তমান মুখমণ্ডল না মিললে ই-গেট ব্যবহার করা যাবে না। এরপরও যাত্রীকে চূড়ান্ত অনুমতির জন্য ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। কারণ, পাসপোর্টের তথ্য ই-গেটে ইলেকট্রনিক্যালি যাচাই করা হলেও ই-ভিসা সব দেশে নেই। তাই সেই ভিসা যাচাই করতে হয় ম্যানুয়ালি। যাচাই করে এর বিপরীতে সিল, স্বাক্ষর দিতে হয় ইমিগ্রেশন দফতরকে।

বা// দৈনিক দেশতথ্য// ১৫ নভেম্বর//