ইরফান উল্লাহ, ইবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী ও ইয়াশিরুল কবির সৌরভ সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
সমাবেশে এস এম সুইট বলেন, চট্টগ্রামের প্রশাসন বিভিন্নভাবে রিফাইন্ড আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। এর ফলেই চবির শিক্ষার্থীদের উপর এই ন্যাক্যারজনক হামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রিফাইন্ড আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন বন্ধ না করলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিতে পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে দেরিতে বাসায় ফেরায় এক ছাত্রীকে বাসার দারোয়ান মারধর করলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাতেই দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে (চমেক) পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই শিক্ষকও আহত হন। পরে রোববার সকালেও শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হয়।

Discussion about this post