পটুয়াখালী শহরের ব্য়ামাগার মোড়ে ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল অনিকের উপরে হামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের অনুসারীরা গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ্এই হামলা চালিয়েছে।
ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল অনিক জানায়, ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে ইট ভাটার মাটি কাঁটতে গেলে যাতে স্থানীয় জনগণের চাপের মুখে পড়তে না হয় একারনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে মৌখিক চুক্তিতে যায় ফাহিম ব্রিকস এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই। মৌখিক চুক্তিতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল অনিকের অনুসারীদের দিন প্রতি এক হাজার টাকা ও অনিককে একহাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও মাটি কাঁটা শেষ হলে অনিককে মোট ৩০ হাজার টাকা দিলে তিনি ৫০ হাজার টাকার দাবি করেন। তখন ইট ভাটার মালিকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক।
অনিক আরও জানান, ইটভাটার মালিক আমার সাথে কোনো সমাধানে আসতে না পেরে শেষমেশ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সরনাপন্ন হয় ইট ভাটার মালিক আব্দুল হাই। পরবর্তীতে গতকাল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা পটুয়াখালী শহরের ব্যায়ামাগার মোড় এলাকায় আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার এই ঘটনার পূর্বে অনিককে ফোন কলে হুমকি দেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রানা। ফোন কলে রানা অনিককে হুমকি দিয়ে বলেন লিমিট অতিক্রম করিস না মাত্রা কেউ ছাড়াইয়া যাইস না। মাত্রা ছাড়াইয়া গেলে কিন্তু ব্যাপারটা ভালো হইবে না। তোরে কইয়া দিয়াইলাম তুই ৩০ হাজার টাকা নে আর কোনো ঝামেলা করিস না। তুই তারপর আবার মাটির হিসেব নিতে যাও তার কাছে কোন হিসেবে। তুই কাঠপট্টি আয়। তখন আনিক বলেন সাইফুল ভাইরে নিয়ে আসতেছি, তখন রানা বলেন যারে ইচ্ছে নিয়ে আয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম রানা জানান, ঈদের আগের দিন আমি গিয়ে অনিককে বুঝিয়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি এবং যাতে আর কোনো ঝামেলা না হয় এই কথা বলে এসেছি, আমি ওরে কোনো হুমকি দেই নাই। আর এই হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
ফাহিম ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হাই’র সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের অফিসে দেখা করার কথা বলে এবং এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে তার কথা হয়েছে বলে ফোনটি কেটে দেয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি সরাসরি দেখা করতে মিঠাপুকুর পাড় তার নিজের অফিসে যেতে বলেন। পরবর্তীতে তার সাথে সরাসরি দেখা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা হামলা করেছে তাও আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এটা ছাত্রলীগের কোনো বিষয় না, এটা ব্যাক্তিগত ঝামেলা তবুও এরকম ঘটনা যাতে আর পুনরায় না ঘটে সে বিষয় আমি সর্বোচ্চ নজরে রাখবো।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি । আভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ২৮, ২০২৩//

Discussion about this post