কুমারখালী প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার খোকসা আমবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে চাকরি পেতে বাড়ির জমি রেজিষ্ট্রি এবং পরবর্তীতে চাকরি না করে জমি ফেরত নেবার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খোকসা উপজেলা কম্পাউন্ডের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক খোকসা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
রোববার সরেজমিনে গেলে আমবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার জানান, ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ হলে বিদ্যালয়ের জমি ঘাটতি থাকায় পার্শ্ববর্তী আরিফ বিশ্বাসকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেবার শর্তে ৭ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করা হয়। সেসময় আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান খান বিষু বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে বরাদ্দকৃত ভবন বাতিল হয়ে যায় এবং নিয়োগে বিলম্ব হয়। ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের সভাপতি বর্তমান আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেন নির্বাচিত হবার পর আরিফ বিশ্বাসকে চাকরি দিতে চাইলে তিনি চাকরি করতে রাজি হননি।
এবং বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করা জমি ফেরত দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তখন থেকেই জমি ফেরত দেবার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত জমি ভোগদখলে আরিফ বিশ্বাসই রয়েছেন। হটাৎই গত বৃহস্পতিবার তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমি ফেরতের বিষয়ে পরামর্শ করতে গেলে সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান খান বিষু স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের সহায়তায় তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান।
আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেন ও জমি দাতার চাচা আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার ভালো একজন মানুষ। মসজিদে একটানা ১৭ বছর কোষাধ্যক্ষর দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বিষু সভাপতি থাকাকালীন জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি হয়। সেসময় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন বিষু। বর্তমানে নিজেকে রক্ষা করার জন্য জমি দাতার পরিবারের সাথে আঁতাত করে প্রধান শিক্ষককে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।
অভিযুক্ত আমবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান খান বিষু বলেন, তিনি নামমাত্র সভাপতি ছিলেন। বিদ্যালয়ের নামে জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়ে কিছু জানেননা। রেজুলেশনে সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া জমির বিষয়ে কিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ইরুফা সুলতানা জানান, বিদ্যালয়ের জমির বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন । প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান।
এহ/27/10/24/ দেশ তথ্য

Discussion about this post