চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ।। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানাধীন চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৈনিক ৩শ’ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে চট্টগ্রামের চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সিআর মামলা নং-১৬৫/২২।
দায়ের করা মামলাটি আদালত শুনানি শেষে কর্ণফুলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট তম্ময় বড়ুয়া।
জানা যায়, মামলার বাদি কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ১নং ওয়ার্ডের ময়নার পাড়ার নবী হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন ওরফে সাবু (৩৯)।
মামলায় আসামিরা হলেন কর্ণফুলীর উপজেলার শিকলবাহা ২নং ওয়ার্ড গজর পাড়ার জরিপ আলীর ছেলে রফিক (৪২) ও সোহেল (৩৯), শিকলবাহা ১নং ওয়ার্ড বখতিয়ার পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আসিফ (২৬) ও সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মোবারক (৩০)।
১৯ জুন দায়ের করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে কর্ণফুলী শিকলবাহার বুলি মেম্বারের ডকের পাশের দোকান ও বসত গৃহে। বাদী সাহাব উদ্দিন ও তাঁর ভাই আলী হোসেন উভয়ই যৌথভাবে মুদি দোকান করেন। অভিযুক্ত রফিক বাদীর দোকানের সামনে এসে প্রতিদিন ৩শ’ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাকিতে নাস্তা খেয়ে চলে যান। বাদীর দাবি আসামিদের ভয়ে দৈনিক ৩শ’ টাকা চাঁদা দিতেন। আসামিরা এতে খুশি না হয়ে ৫শ’ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুমকি দেন। গত ১৩ জুন দুপুরে নাম উল্লেখিত আসামিরা ৫০০ টাকা দাবিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীকে অতর্কিত আক্রমণ করে। এতে মারধর করে জখম এ ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আহম্মেদ ও শিকলবাহা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে জানান, চার জন মিলে ৩শ’ টাকা চাঁদা দাবি করা। আবার একজনের ভাগে ৭৫ টাকা পড়বে তাও হাস্যকর। এ ধরনের ঘটনা সত্য বলে মনেহয় না। কোন দোকানদার বা কোন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ এসে জানায়নি। আসলে কি ঘটছে আমরা খবর নিলে জানতে পারব।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আবারো যাবো। স্বাক্ষী প্রমাণ নিচ্ছি। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন তাই ফাইনালি কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষ মুল ঘটনা জানা যাবে।
অভিযুক্ত রফিক (৪২) ও সোহেল (৩৯) বলেন, ওদের সাথে আমাদের সামান্য ঝগড়া বিবাদ চলছে। যা স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। সালিশী বৈঠকে আমরা গেছি। ওরা না এসে কোর্টে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছে শুনেছি। তাও আমার ভাইসহ ৪জন মিলে নাকি তিনশ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। যা আদৌও সত্য নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। এলাকার লোকজন তা স্বাক্ষী দেবে। আশাকরি পুলিশ তদন্ত করলে সঠিক ঘটনাটি জানবে।
আর/দৈনিক দেশতথ্য//৩ আগষ্ট-২০২২//