বকুল চৌধুরীঃ নিজস্ব অর্থয়নে প্রথম পদ্মা সেতুর কাজ ইতিমধ্যে ৮৬শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যা বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সহ বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঠিক সেই মুহুর্তে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের দৃষ্টি পড়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে। এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য প্রাথমিক ভাবে সম্মতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) । তবে সরকার একক বা যৌথ অর্থায়নকারী হিসেবে কোন সংস্থাকে বেছে নেবে সে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এরই মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে সরকারের একাধিক বার আলোচনা হয়েছে। আর একবার সম্ভাবতা যাচাই করতে পারে বিশ্ব ব্যাংক। আগে জায়কা এক দফা সম্ভাবতা যাচাই করেছে। এ ছাড়া প্রথম পদ্মা সেতুর মতো দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রযুক্তি সহয়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় চীন। এ নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণায়ন ও সেতু বিভাগ এসব তথ্য জানায়। এর আগে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের জাইকা তাদের বিস্তারিত সমীক্ষায় চারটি স্থানকে সুবিধা জনক হিসাবে চিহ্নত করে । এর মধ্যে মাওয়া-জাজিয়া পয়েন্টে দেশের বৃহত্তর পদ্মা বহুমুখী সেতু বাস্তবায়নের কাজ ৮৬শতাংশ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে গোয়ালন্দ- পয়েন্ট হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। এ সেতু নিমার্ণ হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ীর সড়ক যোগাযোগের দুরুত্ব কমে আসবে। গোপালগঞ্জ, যশোর ও মাদারীপুর জেলার অংশবিশেষ এর দুরত্ব কমবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, অর্থায়নকারী সংস্থা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিন্ধান্ত আসবে।প্রস্তাবিত এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬দশমিক ১০ কিলোমিটার আর প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩হাজার ১২১ কোটি ৩৮লাখ টাকা । প্রকল্পের প্রস্থাব ইতি মধ্যে অনুমদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিকে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল (টাকার অংক বাড়তে পাড়ে)১০হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সে সময় অবস্য দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫কিলোমিটার পরে এর দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় ৩হাজার কোটি টাকা বেড়েছে মনে করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়নের বিকল্প খোলা রাখছে সরকার। এর আগে জাপান আর্ন্তজার্তিক কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছে একাধিক বার প্রস্তাব দিলেও সংস্থাটি ইতিবাচক সারা দেয়নি। এ ছাড়া কিছুদিন আগে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নের প্রস্থাব দেয় সরকার।কিন্ত সে আলোচনাও এগোয়নি নানা কারণে । তবে এবার বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া চীন সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তা দিবে বলে জানা গেছে।অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রক্লপটি নীতিগত অনুমদন দেওয়া হয়। আলোচনায় এসেছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু । এর আগে অর্থমন্ত্রী থাকাকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত তার দেওয়া সর্বশেষ অর্থ ঊন্ননের বাজেট ঘোষণার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্শাণের সপ্ন তুলে ধরেন। সেই সূত্র ধরেই এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জোরদার করেছে সরকার। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহজ করতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর যে দাবি উঠেছে সেটি বিবেচনায় নিয়ে সরকার আগে নদীর পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে একটি বাজেট তৈরি করেন সেতু মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায় সেতুর পরির্বতে আন্ডার প্লাস বা টানেল দিকে নজর দিচ্ছে এই টানেল নিমার্ণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের যুগ্ন সম্পাদক জাতীয় সংসদ সদস্য কুষ্টিয়া-৩ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবল আলম হানিফ, রাজবাড়ি-১আসনে (সদর) জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযুদ্ধা জিলুল হাকিম ও কুষ্টিয়া-৪ আসনে (কুমারখালী-খোকসা) জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রিয় কমিটি প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ তারা একাধিকবার টানেল নির্মাণের জন্য সেতু মন্ত্রনালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নিয়মিত যোগাযোগ করেছে অতি দ্রুত টানেলটি নির্মাণের জন্য।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post