মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল : ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মির্জাপুরে তেলবাহী ট্রাক লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। চালক ও হেলপারকে ডাকাত দল অস্্েরর মুখে জিম্মি ও মারপিট করে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মুল্যের ৬০ ড্রাম পামঅয়েলসহ ট্রাকটি নিয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ মহসাকের মির্জাপুর উপজেলার নাসির গ্রুপের সামনে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের হামলায় আহতরা হলেন ট্রাক চালক নওগাঁ সদর উপজেলার আলাউদ্দিনের ছেলে আলামিন (৪০) এবং একই এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে ও ট্রাকের হেলপার টিটু (২৫)। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ট্রাক ও পামঅয়েল উদ্ধার হয়নি। এর আগে গত ২১ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যমুনা সেতুর পুর্বপ্রান্তে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রী বাহী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, ১৭ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুরে ইউনিক রয়েলসের একটি যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি এবং ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে যাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। একের পর এক মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতাসহ আতংকে বলে অভিযোগ করেছেন।
ট্রাকচালক আলামিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার আয়াত এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৪৮২৯) মিল্লাত এন্টারপ্রাইজের ট্রান্সপোর্ট থেকে পামঅয়েল (সয়াবিন তেল) নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে বগুড়ার দুপচাচিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাতে ট্রাকটি ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার নাসির গ্রুপের সংলগ্ন অভার ব্রিজের উপর উঠার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা ট্রাকটি গতিরোধ করে। ৭-৮ জনের ডাকাত দল ট্রাকে উঠে অস্্েরর মুখে তাদের জিম্মি ও মারপিট করে ট্রাকটি তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। চালক ও হেলপারকে পারপিটের পর হাক-পা বেঁধে মহাসড়কের জামুর্কির উত্তর পাশে নাসির গ্রুপের পাশে ফেলে রেখে পাপঅয়েলসহ ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।
ট্রাকের মালিক সনি মিয়া জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ট্রাকের চালক ও হেলপার ফোনে তাকে জানিয়েছে ডাকাত দলের সদস্যরা পামঅয়েলসহ ট্রাক নিয়ে পালিয়েছে। তাদের অস্্েরর মুখে জিম্মি ও মারপিট করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখেছিল। পরে তারা মির্জাপুর থানার টহলরত পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে। ড্রাকে ৬০ ড্রাম পাপঅয়েল (সয়াবিন তেল) ছিল যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিব বলেন, ডাকাতি হওয়া পামঅয়েলের মালিক ও ট্রাকের মালিক এখন পর্যন্ত আসেনি। ট্রাকের চালক আলামিন ও হেলপার থানায় এসেছে। তাদের নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিদের্শে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, ট্রাকের চালক ও হেলপার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর ট্রাক ও পাপঅয়েল উদ্ধারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের একাধিক ট্রিম মাঠে কাজ করছেন।
এদিকে এর আগে গত ২১ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যমুনা সেতুর পুর্বপ্রান্তে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রী বাহী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, ১৭ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুরে ইউনিক রয়েলসের একটি যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি এবং ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে যাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। একের পর এক মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতাসহ আতংকে বলে অভিযোগ করেছেন। মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নজরদারী জোরদারের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকরা।

Discussion about this post