মাছ-মাংসের চড়া দামে যখন নাভিশ্বাস, তখন মজুতদারদের কারসাজিতে যেনো চাল-ডাল কেনারও উপায় থাকছে না। খোদ খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভরা মৌসুমে হু হু করে চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে ছয় বড় করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট।
উৎপাদন মৌসুমে চালের দাম কমে। কিন্তু এবার ঘটছে উল্টো চিত্র। সপ্তাহ ব্যবধানে শুধু বাড়ছেই দাম। চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মিলারদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই মিললো মজুতদারির প্রমাণ। যেখানে ফুড গ্রেডের লাইসেন্সের আওতায় সর্বোচ্চ ৮০ টন মজুতের বিধান রয়েছে; সেখান লাইসেন্স না থাকলেও এক একটি খুচরা দোকানে দেড়শো টন পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে।
মজুতদারদের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে দেশজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম। করা হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা।
এদিকে বুধবার (১ জুন) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার অভিযোগ করেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মজুতদারিতে জড়িত ৬টি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট। অবৈধ এ সব মজুতদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
জা//দেশতথ্য/০১-০৬-২০২২//০৯.১৩ পি এম

Discussion about this post