মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮ নং ধানখোলা ইউপিতে ১৯৫৫ সালে ৪০১ একর জমি নিয়ে চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামার প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন এখানে কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে গড়ে উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তারা সব কিছু নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে নিচ্ছেন। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর শ্রমিকরা হচ্ছে বঞ্চিত।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় পাটবীজ উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৫০ একর জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য পাটবীজ রোপণ করে। রোপণ থেকে পরিচর্যা ও কর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সমুদয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। অভিযোগ উঠেছে পরিচর্যা খাতে স্বল্প শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। শ্রমিকদের দিয়ে পাটবীজ কর্তন না করে চিহ্নিত তিন খড়ি ব্যবসায়ীকে দিয়ে কাজটি করানো হয়েছে। এতে বিএডিসির বরাদ্দকৃত একটি টাকাও খরচ করা হয়নি।
আরো জানা গেছে ওই বরাদ্দের পুরোটাই রেজাউল হুদা গংদের পকেটে চলে গেছে। আরো জানা গেছে ব্লক ইনচার্জ ও শ্রমিক নেতাদের যোগসাজসে পাটগাছ আধা মাড়াই করে গাছ গুলো তিন খড়ি ব্যবসায়ীকে দিয়ে পুনরায় মাড়াই করা হয়েছে। এতে তারা প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার বীজ সংগ্রহ করেছে।
বিগত দিন গুলিতে খামারে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের নিজেদের জ্বালানি হিসেবে খামার থেকে খড়ি কর্তন করে নিয়ে যেত। যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হুদা যোগদানের পর থেকে উক্ত শ্রমিকদের কপাল পুড়েছে।
সরকারি মালামাল বিক্রির নীতিমালা আছে, সেই নীতি উপেক্ষা করে প্রায় তিন বছর যাবত সরকারি মালামাল নিজে একাই বিক্রি করে থাকেন যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হুদা। দক্ষিণ ব্লকের দায়িত্বরত উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) হুমায়ুন কবির, মধ্যম ব্লক উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) ইকবাল হোসেন, উত্তর ব্লকের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) এটিএম আরিফুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হুদার সাথে পৃথক পৃথকভাবে যোগাযোগ করা হয়। ২০২১ মৌসুমের কত একর পাটবীজ ছিল তা জানাতে তারা সবাই অস্বিকার করেছেন।
পাটবীজ বিভাগ (বিএডিসি) সদর দপ্তরের মহা ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সরকারি মালামাল বিক্রির নীতিমালা আছে। তবে চিৎলা ভিত্তিক পাটবীজ খামারে যে ঘটনা ঘটেছে এটা সম্পূর্ণ সরকারী নীতি বহিভূত। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম রাহাতুল্লাহ একান্ত সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারের উক্ত বিষয় টি চেয়ারম্যান মহোদয় কে অবগত করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//২ ফেব্রুয়ারী,২০২২//

Discussion about this post