গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধিঃ গাংনীর ৮ নং ধানখোলা ইউপিতে অবস্থিত চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামার বিএডিসি। উক্ত খামারে উৎপাদন হয় পাটবীজ, ধান বীজ, আলু বীজ, গম বীজ। বর্তমানে খামার টির এত নাজুক অবস্থা, কোন বীজ উৎপাদন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এখন ধান বীজ উৎপাদনের মৌসুম চলছে, ধানের জমিতে আগাছায় পরিপূর্ণ ধান গাছ মাঝেমধ্যে কোন রকম আছে। খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান মাসে ৫ থেকে ৮ দিনের বেশি কাজ হয় না। কিন্তু জমিতে আগাছায় ভর্তি। শ্রমিকরা বলেন, আমরা শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমানে উক্ত খামারে কিছু শ্রমিক আছে, যাদের কোন কাজ নেই শুধু ঘুরে ফিরে মোটরসাইকেল চড়ে প্রতি মাসে ১৫০০০(পনের হাজার) টাকা করে বেতন নিয়ে থাকে। বিগত সময়ে উক্ত খামারে এমন অবস্থা কখনই হয়নি। বর্তমান খামারের যুগ্ম-পরিচালক এর বাসা খুলনায় হওয়ার সুবাদে পতি মাসে প্রায় ২৫দিন খামারে উপস্থিত না থাকার কারণে এবং ঠিকমতো দেখভাল না করার কারনে এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। খামারটি দিনদিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। যেমন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা তাদের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে , অন্যদিকে সরকারের পতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে অনেক কৃষি খামার ব্যাপকভাবে উন্নতি লাভ করছে। কিন্তু এই খামারটি অব্যবস্থাপনার কারণে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলেছে। খামার টির অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন নাই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসভবন বসবাসের সম্পূর্ণরূপে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খামারটি চাষের অবস্থা দেখে মনে হয় না, এটা কোন সরকারি খামার, সীমানার কোলঘেঁষে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যায়, সরকারি খামারে কয়েক একর জমি দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছি। মেহেরপুর জেলার সুশীল সমাজের দাবি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, ও মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের কাছে সাধারন জনগনের দাবি উক্ত খামারটি সরোজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে খামার টি কে রক্ষা করার।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post