কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মনির আহমদ মার্শালকে নিয়ে সাধারণ ভোটাদের কৌতুহলের শেষ নেই। নির্বাচনে তার ভুমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটারা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে সদস্য বহিষ্কৃত মনির আহমদ মার্শাল কে ‘নামকাওয়াস্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী’ বলে অভিহিত করেছেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের নয় ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় লোকজন।
অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পাড়া মহল্লায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা সমাবেশ গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। ভোটারদেরকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। শেষ পর্যায়ে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। দলের প্রতীক আর ব্যক্তি ইমেজ ধরে রাখার তাগিদে প্রতিটি ভোটারের কাছে যাওয়ার চেষ্টায় তারা মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন।
ব্যাপক প্রচার চালিয়ে তারা ভোটারদের ভোট নিজের বাক্সে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হলে দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের কাছে হারবেন বলে দাবি বিদ্রোহী প্রার্থীর।
সাধারণ ভোটারেরা বলেছেন, ‘মনির আহমদ মার্শাল চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ালেও পুরো ইউনিয়নে তাঁর নেই কোন পোস্টার, ব্যানার ও প্রচার প্রচারণা। নির্বাচন করছেন কী করছেন না? তাতেও নেই তাঁর মাথা ব্যথা। কারো কাছে ভোটও চান না। বরং চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক পাওয়া হাজী ছাবের আহমদের প্রতিটি উঠোনবৈঠক ও পথসভায় তিনি সঞ্চালনা করে থাকেন।
আনারস প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীর পিছু পিছু সারাদিন ঘুর ঘুর করেন। এতেই স্পষ্ট করেছেন তিনি একজন ড্যামো প্রার্থী বা নামকাওয়াস্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী।
খোয়াজনগরের একাধিক সাধারণ পুরুষ ভোটার বলেন, পুতুল নাচের খেলা যেমনি নাচাও তেমনি নাচে, পুতুলের কি দোষ? আনারস থেকে লাটাইয়ের রশি টানছে আর ছাড়ছে। এটাতো নামকাওয়াস্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ছাবের হাজীর ইশারায়ই তার মনোনয়ন নেওয়া। আনারস মার্কা প্রার্থীর হাতেই তার পুতুল নাচের খেলা চলছে। গুজবের ফ্যাক্টরিতে বসে ফেসবুকে নানা অপপ্রচারের ভাঙা রেকর্ড বাজানো হচ্ছে। এতেও কোনো কাজ হবে না। মানুষ বুঝতে পেরেছে। সে কেমন প্রার্থী।
ওদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সুত্র জানায়, চরপাথরঘাটা নেতাকর্মীদের মধ্যে টানাপোড়েন নেই, সংশয়-সন্দেহ নেই। আমরাতো বানরের পিঠা ভাগের মতো রাজনীতি করি না। এক নীতি নিয়েই রাজনীতি করছি। আমরা নির্বাচন করছি প্রধানমন্ত্রী তথা ভূমিমন্ত্রী জাবেদ সাহেবের দেওয়া প্রার্থীকে জেতার জন্য, সুতরাং ভোটেই আমরা জিতব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনির আহমদ মার্শাল বলেন, এখন কি এগুলো মন্তব্য করার সময় ? এগুলো আপনারা বুঝেন না? ব্যাখ্যা করে কী বলব, আমি আনারসকে সমর্থন করে দিছি। এখন ব্যস্ত পরে কথা বলব বলে ফোন লাইন কেটে দেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য// ১১ জুন-২০২২//

Discussion about this post